মোঃ সুলতান মারজান হৃদয় মিঠাপুকুর প্রতিনিধি,
মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ সরকারি বেগম রোকেয়া স্মৃতি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী আরমিনা বেগমের উপর বর্বররোচিত হামলার প্রতিবাদে- ১৩ আগষ্ট শনিবার দুপুরে পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র সংলগ্ন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে পায়রাবন্দ সরকারি বেগম রোকেয়া স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকবৃন্দসহ অভিভাবক এবং ঐ ছাত্রীর সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২ টায় পায়রাবন্দ সরকারি বেগম রোকেয়া স্মৃতি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে মানববন্ধনটি শুরু হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বেগম রোকেয়া গেইট সংলগ্ন আঞ্চলিক সড়কের দু-পাশে সারিবদ্ধ হলে অধ্যক্ষ একরামুল হক তার বক্তৃতায় অপরাধীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে, এ হামলার তীব্র নিন্দা জানান। আরমিনার বাবা আব্দুর রাজ্জাক মেয়ের বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং অপরাধী ফেরদৌস আল হাসান ডিপজলসহ তার বাবা মুসলিম উদ্দিন মাষ্টারকে এ ঘটনার জন্য দায়ি করেন।
মানববন্ধন শেষে ঘটনার বিবরন জানতে অভিযুক্ত ডিপজল এবং মুসলিম মাষ্টারের বাড়ি থেকে ফেরার পথে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক ইউপি-সদস্য সাংবাদিকদের জানান, মুসলিম উদ্দিন মাষ্টার তার ছেলে ডিপজলসহ তার ভাতিজারা এর আগেও রায়হান নামে একজনকে এভাবে হাতড়ি দিয়ে পিঠিয়েছে। আরেক ভাতিজা মিজানুর রহমান এক কলেজ ছাত্রীকে মেসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করায় মামলা হলে বর্তমানে পলাতক। জালাল নামে একজন জানান, প্রভাবশালী হওয়ায় তারা একের পর এক অন্যায় করছে। আমরা মাষ্টারের প্রতিবেশী হলেও এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
মানববন্ধন এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে সর্বচ্ছ চেষ্টা করছে। আশাকরি তাদের খুব শিঘ্রই গ্রেফতার করতে পারবো।
উল্লেখ্য যে,গত ১০ শে আগষ্ট বুধবার কলেজ থেকে ফেরার পথে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরমিনা বেগমকে তার মাদকাসাক্ত স্বামী ডিপজল হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় একের পর এক আঘাত করে। এতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঐ ছাত্রীকে প্রথমে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। চিকিৎসক-গন জানিয়েছেন আরমিনার অবস্হা সংকটাপন্ন। সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।