31.1 C
Rangpur City
Saturday, September 21, 2024
Google search engine
Homeমতামতমালয়েশিয়া

মালয়েশিয়া

তুহিন চৌধুরী
রাজনৈতিক – ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক।

মালয় গ্রুপ বাংলাদেশী কর্মীদের পরীক্ষা করার জন্য বেছে নেওয়া ২৫ টি রিক্রুটিং এজেন্সী নিয়োগ সংস্থার তদন্তের আহ্ববান জানিয়েছে.—

মালয় ইকোনমিক অ্যাকশন কাউন্সিল দাতুক সেরি এম সারাভানানের মানবসম্পদ মন্ত্রকের দ্বারা সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২৫টি সংস্থার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে৷ মালয় ইকোনমিক অ্যাকশন কাউন্সিল (এমটিইএম) আজ পুত্রজায়াকে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রবেশ পরিচালনার জন্য মানব সম্পদ মন্ত্রকের দ্বারা সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত 25টি সংস্থার তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে, দাবি করেছে যে এটি জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার বিষয়।

এর প্রধান নির্বাহী দাতুক আহমাদ ইয়াজিদ ওথমান বিদেশী শ্রমের জন্য একটি ভিসা প্রকল্প নিয়ে আল্ট্রা কিরানা এসডিএন বিএইচডি (ইউকেএসবি), বেস্টিনেট এসডিএন বিএইচডি এবং 25টি কোম্পানির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

“এমটিইএম মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো এজেন্সিগুলি সহ সরকারকে এই দুটি সংস্থার সাথে সংযোগ আছে কিনা সহ এই চুক্তিগুলি প্রদানের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করে৷

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এটি জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার বিষয়, বিদেশী নিয়োগের প্রকল্প কারা পাবে তার বিষয় নয়।”

তিনি 25টি কোম্পানি বাছাইয়ের সাথে জড়িত নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং মানদণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

“বাংলাদেশ থেকে বিদেশী শ্রমিকের আগমন পরিচালনার দায়িত্বের জন্য নির্বাচিত 25টি কোম্পানির নির্বাচনের মানদণ্ড কী? এই 25টি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা পাচারের ইস্যুতে জড়িত থাকলে মন্ত্রণালয় কি ইন্টারপোল এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পেয়েছে?

“মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় কি দেশে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার চেয়ে বাংলাদেশিদের প্রবেশ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন যখন দেশটি জীবনযাত্রার বিভিন্ন ব্যয়বহুল সমস্যা এবং সীমিত কর্মসংস্থানের সুযোগের সম্মুখীন হচ্ছে?” তিনি জিজ্ঞাসা.

মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় পূর্বে বলেছিল যে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য 25টি কোম্পানির স্বীকৃতি একচেটিয়া চর্চা এড়ানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের কল্যাণ ও জীবিকা রক্ষার জন্য করা হয়েছিল।

মন্ত্রী দাতুক সেরি এম. সারাভানান বলেছেন, সম্ভাব্য কর্মীদের জন্য আরও ভাল অ্যাক্সেসযোগ্যতা তৈরি করার এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার আরও ভাল শাসন নিশ্চিত করার প্রয়াসে, তার মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের জনশক্তি মন্ত্রনালয়ের দেওয়া 1,520 জনের তালিকা থেকে 25টি কোম্পানিকে বেছে নিয়েছে।তবে ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাংলাদেশের দু একজন সাংবাদিক পরিচয়ে সিন্ডিকেটের পক্ষে দূতাবাসে খবরদারীতে ব্যাস্ত .এছাড়াও বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় এর ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য করছে.

তিনি ব্যাখ্যা করেন যে এই সিদ্ধান্তের আগে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে মাত্র 10টি কোম্পানি জড়িত ছিল যা দুর্ভাগ্যবশত অনেক কর্মীকে শালীন কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করে এবং পরবর্তীতে উভয় দেশের সংস্থার দ্বারা আটকে পড়ে.

সকলের জন্য উন্মুক্ত ,সচ্ছ প্রক্রিয়া সহ উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার না করে ২৫ সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর সিদ্ধান্তে
একতরফা মালয়েশিয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে যে কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে এবং
এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোন কিছু না করার কারনে
বাংলাদেশের বদনাম হচ্ছে.মালয়েশিয়ায় আন্দোলন এবং অনেকদিন ধরে ২৫ সিন্ডিকেট নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে.বাংলাদেশের কর্মিদের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপি.মালয়েশিয়ায়এর ব্যাতিক্রম নয়.সেখানে বাংলাদেশী লক্ষ লক্ষ শ্রমিক যেমন রয়েছে ,তেমনি সেখানে অনেক বাংলাদেশী সুনামের সহিত ব্যাবসা সহ বাংলাদেশ হতে বড় আমদানীকারক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে.তাদের প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে অনেক বাংলাদেশী শ্রমিক.সেক্ষেত্রে তাদেরও শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে.মধ্যপ্রাচ্যর পর মালয়েশিয়া এখন বাংলাদেশী শ্রমিকের বড় ক্ষেত্র.রেমিটেন্স প্রবাহ ধরে রেখেছে এই প্রবাসীগন .কিন্তু বার বার এক শ্রেনীর বেনিয়া গোষ্ঠি কর্তৃক হোঁচট খাচ্ছে এই সেক্টর. এই সেক্টরে এখন প্রায় ১৬ শত বৈধ লাইসেন্স আছে.যারা সরকারের সকল শর্ত মেনেই শ্রমিক প্রেরনে মূল সহায়তা প্রদান করে মন্ত্রনালয় এর পরামর্শে.যদিও সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ এর
এই সেক্টরের সংগঠন বায়রা .কিন্তু দির্ঘদিন নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায়
স্বার্থান্বেষী মহল সুযোগ নিচ্ছে.
অনেকদিন যাবত প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী মহোদয় বাজারটি খোলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন.
প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছি আমরা
লোভী একটি মহল.

কোন দেশে অবৈধ শ্রমিক প্রেরনে কোন বৈধ
লাইসেন্সধারীগন কাজ করেন না.আমাদের শক্তি আমাদের অর্থনীতি আমাদের গর্বিত শ্রমিক.এ পর্যন্ত বাংলাদেশের শ্রমিক কাজ করছে ১৬২ টি দেশে. এই সেক্টরের বৈধ লাইসেন্সধারীগন বিভিন্ন দেশে তাদের সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক কর্মি প্রেরন করেছেন এবং অসয্য যন্ত্রনাও তাদের শয্য করতে হয়.এই সেক্টর বাংলাদেশের জন্য একটি শিল্প .অথচ যেনতেনভাবে এই সেক্টরকে নিয়ে খেলা চলে.অথচ এই সেক্টরের জন্য সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রনালয় যেমন রয়েছে তেমনি তারা কাজ করে যাচ্ছেন.
সেখানে ক্ষমতাধর কিছু ব্যাক্তি তাদের নিজ স্বার্থে খবরদারি যেমন করেন তেমনি কুক্ষিগত করতে চায়.

কিন্তু সময় এখন বাংলাদেশের এই সেক্টরকে সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আশা.এই সেক্টরে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্হান এবং রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য কাজ করে.তাই গুটি কয়েক মানুষের কাছে বার বার জিম্মি হতে পারে না.
যদিও বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদেশে শ্রমিক যাবার ক্ষেত্রে সকল নিয়ম সহ অভিবাসন
ব্যায় কম করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে আসছেন.এছাড়া মাননীয় প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী
বলে আসছেন তিনি বৈধ সকল লাইসেন্স এর তালিকা সে দেশে প্রেরন করেছেন এবং তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়.এদিকে শ্রমিকের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য করনিয় সকল কাজ বাংলাদেশের পক্ষ হতে হাইকমিশন সহ মন্ত্রনালয় কাজ করে যাচ্ছে.
কিন্তু তারপরও সিন্ডিকেট থেমে নেই.

News Desk
News Deskhttps://sotterkontho24.com/
রোড নংঃ ৫/১, বাসা নংঃ ৩৮৮, হোল্ডিং নংঃ ৪৪৫ স্টেশন রোড, আলমনগর, পীরপুর, রংপুর। মোবাইলঃ ০১৭৩৬৫৮৫৭৭৭
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয় নিউজ

সাম্প্রতিক মন্তব্য