মোঃ সুলতান মারজান (হৃদয়) (মিঠাপুকুর প্রতিনিধি)
বৃহত্তর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ০৯ নং- ময়েনপুর ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামফুনেছা বেওয়া (১০৪) তিনি মৃত- আব্দুল মফিজ উদ্দীনের স্ত্রী। জামফুনেছা বেওয়া ছয় সন্তানের জননী, চার ছেলে ২ মেয়ে। এক ছেলে মৃত্যুবরণ করেছে আর ২ মেয়ে সন্তানের মধ্যে একজন রাজেকা বেগম(৪০) জন্মগতভাবে সে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। জামফুনেছা বেওয়ার সন্তানেরা সবাই দিনমজুর ও কৃষক।তাদের সংসার চলে অন্যের জমিতে কৃষি কাজ করে ও অন্যের জমি বর্গা চাষ করে। এমন অবস্থায় গর্ভধারণী মায়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা থাকলেও তারা পারেনা, সব সময় তাদের গর্ভধারণী মায়ের সেবা-যত্ন করতে। তাদের দিন এনে দিন খেতে হয়, এমনকি একদিন বাড়িতে বসে থাকলে চুলা জ্বলে না।
মৃত-আব্দুল মফিজ উদ্দীনের বসত ভিটা নাই বললেই চলে। মৃত-আব্দুল মফিজ উদ্দীনের স্ত্রী জামফুনেছা বেগম(১০৪) বয়সের ভারে ঠিক মতো চলাফেরা করতে পারেনা।
অনেক কষ্টে আকুতি কণ্ঠে বললো, বাবা তোরা দেখছেন তো, মুই কী আর আগের মতো চলাফেরা করতে পারো? মোর এখন প্রতি ধাপে ধাপে সমস্যা, মুই ঠিক মত খাইতে পারোনা, চলতে পারো না। মোর মেলা গুলা অসুখ, বাবা তোমরা এখন কন তো মুই এখন কী করিম, প্রতিবন্ধী বেটিক নিয়া। মুই এখন ঔষধ খাইম না ভালো খাবার খাইম। আর মুই তো কোন ইনকাম ও করতে পারো না, কোন রকমে জীবনটাক টানি ধরি বাঁচি আছো। বাবা দেখবার তো পাওছেন মুই কোন ঘরত আছো। খরা হইলে ও সমস্যা ঝড়ি আসলেও পানি পড়ে টিনের ফুটা দিয়ে।
প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়া দিছো অনেক কষ্ট করি একই উপজেলার ৫ নং-বালার হাট ইউনিয়নের কামারটারি/নামাটাড়ি গ্রামের অসহায় চাঁন মিয়াক দিয়া।
চাঁন মিয়া ও এক অসহায় পরিবারের সন্তান, তাঁর বাবা মা দুনিয়াতে কেউ নাই। প্রতিবন্ধী মোছা: রাজেকা বেগমের স্বামী মো:চাঁন মিয়া বিভিন্ন প্রকার জটিল ও কঠিন অসুখে ভুগছেন। ঠিকমতো যে ভালো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করবে তা পারতেছে না অভাবের তাড়নায়। প্রতিবন্ধী মেয়েকে ও তার মেয়ের জামাইকে নিজের ছায়াতলে রাখছেন (১০৪)বছরের বৃদ্ধা জামফুনেছা। জামফুনেছার মেয়ের বিবাহিত বয়স (২৩)বছর ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধী দম্পতি (২)জন মেয়ে সন্তানের জনক। এক মেয়ে সন্তানকে বিয়ে দিয়েছেন অন্যের সাহায্যে আর এক মেয়ের বয়স (১২) বছর পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে।