নিজস্ব প্রতিনিধি:
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার শাল্টি গোপালপুর
এলাকার বাসিন্দা ইনাম হাসান রাহাত ও তার বড় ভাই আসিফ হাসান রাতুল মরুভূমির ত্বীন ফলের বাগান করে সাফল্য পেলেন। শাল্টি গেপালপুর চৌপথি বাজার সংলগ্ন ৩৩ শতাংশ জমির উপর ত্বীন এগ্রো ফার্ম গড়ে তুলেছেন তারা।
গেল বছর অক্টোবর মাসে ৩০০টি ত্বীন ফলের চারা ৩৩ শতাংশ জমিতে রোপণ করেন। আসিফ হাসান রাতুল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। ইনাম হাসান রাহাত সার কীটনাশক এর ব্যবসা করেন। দীর্ঘ দিন ধরে দুই ভাইয়ের পরিকল্পনায় গড়ে ওঠে ত্বীন ফল চাষ প্রকল্প।
মরুভূমির জনপ্রিয়, ওষধি ও পুষ্টিগুণে ভরা ত্বীন ফল চাষাবাদ করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে তারা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। ত্বীন ফল বিক্রির পাশাপাশি ত্বীন গাছের চারা বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন। ফল ও গাছের চারা বিক্রি করে সাত মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করেন। চারা বিক্রি করছেন ৫০০-৭০০টাকা।দেশে ত্বীন ফলের সঠিক মূল্য পেতে সরকারিভাবে সহযোগিতার আশা ব্যক্ত করেন
দুই ভাই। প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তারা বাগানটি গড়ে তোলেন। প্রতি কেজি ফল এর মূল্য এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা। প্রতি মাসে প্রায় ৪০ কেজি করে ফল পাচ্ছেন বাগান থেকে।
ইনাম হাসান রাহাত বলেন, সৌদি আরবসহ মরু অঞ্চলে পবিত্র সুস্বাদু ত্বীন ফলের জনপ্রিয়তা যেমন আছে তেমনি চাহিদাও অনেক। ত্বীন ফল ঔষধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় মরু অঞ্চলে।
সৌদি আরব থেকে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে তারা নিজেদের ৩৩ শতাংশ জমির উপর শুরু করেন ত্বীনের চাষাবাদ। লালমাটি সমৃদ্ধ জমিতে এই ফলের চাষ ভালো হবে না বলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন। পরে অল্প দিনের মধ্যেই ত্বীন গাছ ডাঁটো হয়ে ওঠে। ৫ মাস পর গাছে ফল আসে ও আস্তে আস্তে গোলাপী রঙ ধারণ করে। দেখতে কিছুটা এ দেশের ডুমুর ফলের মতো।
বাণিজ্যিকভাবে ত্বীন ফলের চাষ করলে লাভবান হওয়া সম্ভব বলে তারা মন্তব্য করেন।