মো: সাকিব চৌধুরী
টানা কয়েকদিন থেকে থেমে হালকা এবং মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হলেও সোমবার সন্ধ্যা থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টিতে রংপুরের নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও নিম্নাঞ্চলের রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। যার কারণে ঐসব নিম্নাঞ্চলের মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের পড়েছে ।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
রাতভর অবিরাম বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের একমাত্র অবলম্বন শ্যামা সুন্দরী ও কেডি ক্যানেল খাল খনন না করায় অবিরাম বৃষ্টিতে খাল উপচে পানি আশপাশের অনেক বাড়িঘর ও অলিগলি রাস্তায় প্রবেশ করেছে। নগরীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই শ্যামা সুন্দরী খালের অনেক স্থান তলিয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে কিছু কিছু স্থানে।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর শাপলা চত্বর, হাজীপাড়া, চামড়াপট্টি, করণজাই রেড, সেনপাড়া, নিউ সেনপাড়া, আদর্শপাড়া, বাবুখাঁ, কামারপাড়া , জুম্মাপাড়া, কেরানীপাড়া, আলমনগর, হনুমান তলা, মুন্সিপাড়া, মুলাটোল আমতলা, গনেশপুর, বাবুপাড়া, লালবাগ কেডিসি রোড, বাস টার্মিনাল, শালবন, মিস্ত্রীপাড়া, কামাল কাছনা, নুরপুর, মাহিগঞ্জ, কলাবাড়ি দর্শনা, মর্ডান মোড়, মেডিকেল পাকার মাথা, জলকর, নিউ জুম্মাপাড়া, খটখটিয়াসহ অন্তত ২০টি পাড়া-মহল্লার অলিগলিসহ প্রধান সড়কে দেড় ফুট পানি জমে আছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানিয়েছেন, রংপুরে গত দুই দিনে ২২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজও দিনভর বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, অবিরাম বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আকস্মিক অবিরাম বৃষ্টিতে চরাঞ্চলের অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ধানক্ষেতসহ রবি শস্যের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।