আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের পর্দা নামবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর্দা উঠবে। আগামী১৯ ফেব্রুয়ারি বিপিএল পর্দা নামা থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর্দা ওঠা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের কোনো ম্যাচ নেই।
টাইগাররা সরাসরি টুর্নামেন্টটি দিয়েই চলতি বছরের মিশন শুরু করবে। পাকিস্তান ও দুবাইয়ে বসতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। কিন্তু বিপিএলে ক্রিকেটাররা খেলছেন টি-টোয়েন্টি। ভিন্ন ফরম্যাট দিয়ে কতটুকো প্রস্তুতি নিতে পারছেন টাইগাররা?
এর মধ্যেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাগরণে
একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে- আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বাংলাদেশের মুখোমুখি হতে পারে ভারত। অর্থাৎ, আসল লড়াইয়ের আগে মহড়া। যদিও দুই দলের প্রস্তুতি ম্যাচটি কবে হতে পারে, তা জানানো হয়নি।
ভারতীয় পত্রিকাটি আইসিসি’র এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলছে-ভারত যেহেতু নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে, সেখানেই হবে তাদের প্রস্তুতি ম্যাচ, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত তাদের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে খেলবে। সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ভারতীয় দলের জন্য একটি প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা করা যায় কি না, সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে।’
আইসিসি যেকোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার আগে এক বা দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করে থাকে। এতে দলগুলো আয়োজক দেশের কন্ডিশন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ও সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি নিতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বেশির ভাগ দলের ঠাসা সূচি ও হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কারণে এবার প্রস্তুতি ম্যাচ না–ও থাকতে পারে।
যেহেতু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে, তাই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এই দুই দল দুবাইয়ে থাকবে। অন্য ছয় দল থাকবে মূল আয়োজক দেশ পাকিস্তানে। কিন্তু আইসিসির টুর্নামেন্টে সাধারণত একই গ্রুপে পড়া দুই দল প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় না।
এই রীতি যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ক্ষেত্রেও বহাল থাকে, তাহলে হয়তো কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই বাংলাদেশকে চূড়ান্ত লড়াইয়ে নেমে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভারত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে।তবে দৈনিক জাগরণের প্রতিবেদনে জোর দিয়েই বলা হয়েছে, প্রস্তুতি ম্যাচে ভারত–বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার ‘জোর সম্ভাবনা’ আছে। (স্পোর্টস ডেস্ক