বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, কৃষি ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন এবং সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হবার নীতি আমাদের উৎসাহিত করেছে। আমরা সফল হয়েছি। কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাণী সম্পদে আমরা এখন স্বয়ংসম্পন্ন। একসময় দেশের কোরবাণীর প্রাণীর চাহিদা মিটাতে বিদেশ থেকে প্রাণী আমদানি করতে হতো, আজ চাহিদার বেশি প্রাণী আমরা উৎপাদন করছি। এখন বাংলাদেশ মাংস রপ্তানির চেষ্টা করছে। মৎস্য চাষে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। দেশে মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটেছে। বাংলাদেশ প্রতিবছর মাছ রপ্তানি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রতিটি সেক্টরে স্বয়ংসম্পন্ন হবার জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। পেঁয়াজ উৎপাদনে আমাদের ঘাটতি আছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম উৎপাদন হচ্ছে। ফলে আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করতে হচ্ছে। আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সারাবছর উৎপাদনের জন্য পেঁয়াজের নতুন জাত উদ্ভাবন, উৎপাদিত পেঁয়াজ যাতে নষ্ট না হয় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়, এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী ২৪ অক্টোবর,২০২১,রবিবার ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে বণিক বার্তা এবং বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) যৌথ ভাবে আয়োজিত “বাংলাদেশের ৫০ বছর – কৃষির রূপান্তর ও অর্জন” শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, কৃষি সেক্টরে বাণিজ্যকরণে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ, ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। খাদ্য উৎপাদন অনেক বেড়েছে, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উৎপাদনে সফল হয়েছি আমরা। তবে অনেক দেশের তুলনায় এখনও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ আছে। উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও নতুন জাত আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। সরকার নীতিগত ও কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধি করেছে, এ ধরনের সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে।
অনুষ্ঠানে বিষয়ের উপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন, বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্স ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ, লাল তীর লাইভস্টক এর চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং আফতাব মহুমুখী ফার্মস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান।