মো: সাকিব চৌধুরী-
বাংলাদেশ থেকে বাৎসরিক দারিদ্র্য ও ক্ষুধার সমস্যা বিদায় নিয়েছে অনেক বছর আগে। পাল্টে গেছে উত্তরের অবহেলিত জনপদ রংপুরবাসীর ভাগ্য। চাহিদা অনুযায়ী কৃষকরা বেশি পরিমাণ সার পাচ্ছেন। বিদ্যুৎ আর ডিজেলের জোগানও সন্তোষজনক। তাই বছরজুড়ে ফলছে ধান, গম, ভুট্টা, আলুসহ নানা ফসল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রংপুরে গড়ে উঠছে কৃষিভিত্তিক শিল্প। পণ্য পরিবহনে ছয়লেনের মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে।
বর্ষাতেও অনেক জেলায় খরার দুশ্চিন্তা থাকলেও রংপুরের কৃষকের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি। রংপুর উপজেলার কৃষকের সেচের চিন্তা দূর করেছে তিস্তা নদীর শাখা খালগুলো। এখানে পানি মেলে সারা বছর। এছাড়াও রয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপের সেচ। এ কারণেই এখন এক জমিতে একাধিক ফসল ফলছে এই জেলায়। অভাবের জনপদ থেকে বিদায় নিয়েছে মঙ্গা।
স্থানীয়রা বলছেন, কম খরচে জমিতে সেচ দিতে পেরে জেলার কৃষকদের লাভের অংক বেড়েছে। তাছাড়া জমিতে সারও কম দিতে হচ্ছে।
খাদ্য উদ্বৃত্তের এই অঞ্চল থেকে পণ্য পরিবহনে রংপুরে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম ছয় লেনের মহাসড়ক। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর পীরগঞ্জের পুত্রবধূ “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা” রংপুরকে বিভাগ ঘোষণা করেন। গত প্রায় ১৫ বছরে বদলে গেছে এক সময়ের অবহেলিত এই অঞ্চল।
স্থানীয়রা বলছেন, অতীতের সরকারগুলোর সময় অবহেলিত ছিল এই রংপুর শহর। বর্তমানে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা” রংপুরে ব্রিজ তৈরি করে দেয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। শহরের দূরত্বও কমে গেছে কয়েকগুণ।
বর্তমানে দিনের পাশাপাশি গভীর রাত পর্যন্তও ব্যস্ত থাকেন এখানকার খেটে খাওয়া মানুষ। কর্মমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা স্থাপনসহ নানামুখী ক্ষেত্র সৃষ্টির ফলে কর্মসংস্থান বেড়েছে রংপুরে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, গত ১৩-১৪ বছরে রংপুরে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের কর্মসংস্থান, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জেলার মানুষের ভাগ্য বদলে গেছে।