০৯আগস্ট,২০২২,মঙ্গলবার ইসলামী বর্ষ পরিক্রমায় ১৪৪৪ হিজরি’র প্রথম মাস মুহররম এর ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আশুরা নামে এই দিনটিকে অভিহিত করেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার ময়দানে হিজরি ৬১ সনের এই দিনে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।
আরবি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ দশ ও আশুরা অর্থ দশম।
এই দিনে সংঘটিত হয়েছে বিশ্ব ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। যুগে যুগে মুসলমান জাতির অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সে ঘটনাগুলো।
মুসলমানজাতি বিশ্বাস করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী সৃষ্টি করেন মহররমের ১০ তারিখে। এই দিনেই তিনি তা ধ্বংস করবেন। এ দিনেই হযরত আদম (আ.) এঁর সৃষ্টি, জান্নাতে প্রবেশ, পৃথিবীতে প্রেরণ এবং মহান আল্লাহতাআলার দরবারে তার তওবা কবুল হয়। তাছাড়া আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল এই দিনে। তাই ১০মুহররম বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ’র কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন।
ফোরাত নদীর তীরে ঐতিহাসিক কারবালা প্রান্তরে হিজরি ৬১ সনের এই দিনে যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে, সেজন্য সমগ্র মুসলিম জাহান শোক-বেদনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
মুহররম মাস এলেই কারবালার সেই বেদনাবিধুর স্মৃতি জেগে ওঠে, রক্তক্ষরণ হয় প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ে।
সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ দিনটি পালন করেন মহান আল্লাহতাআলার রহমত ও ক্ষমা প্রাপ্তির আশায় নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির এর মধ্য দিয়ে।