তুহীন চৌধুরী
রাজনৈতিক ,ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক.
বিশ্বব্যপী যখন চলছে যুদ্ধের অস্থিরতা,দুবছর চললো করোনার মহামারি-পুরোবিশ্ব তছনছ .পশ্চিমার যেখানে পরাস্থ হলো,সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় তার মন্ত্রী পরিষদ সহ রাষ্ট্রের সকল বাহিনী মাঠে একযোগে কাজ করেছে করোনার বিরুদ্ধে.বিশ্বে বাংলাদেশ প্রসংশিত হলো.করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ৫ম.দক্ষিন এশিয়ায় ১ম হলো.সে সময় জনগনের পাশে দাঁড়ানোর চাইতে এক শ্রনীর মানুষ,শুশিল এবং রাজনৈতিক নেতারা কত সমালোচনা করেছেন.সে কথা এখন আমরা ভূলে গেছি.কত অপরাধী মানুষের জীবনের সংগে তামশা করছে.কিন্তু সরকার ঠিকই ব্যবস্থা নিয়েছে.সরকার সাপ্লাই চেইন সহ কলকারখানা যখন খুলে দিলো চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলো.
রাষ্ট্র সফল হলো সঠিক নেতৃত্বের কারনে.রিজার্ভ বাড়লো.রপ্তানী আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলো.
আজ টি আই বি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রশংসা করলো.একদিকে ভালো লাগলো ,টি আই বি অন্তত সঠিক মূল্যায়ন করলো এবং বর্তমান সরকার প্রধানের বিপদের সময় সঠিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে একমত হয়ে বললো করোনা কালীন প্রেক্ষাপটে সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)।করোনা এখনো যায়নি.এখনো প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে.তবে এক্ষেত্রে মৃত্যুর হার শূন্য ,তাই শুকরিয়া আদায় করছি.আমাদের কে করোনা অনেক কিছু শিখিয়েছে.কতটুকু সচেতন হয়েছি আমরা তা আশপাশে নজর দিলেই বুঝা যায়.আমরাতো আমাদের বৈশিষ্ট বলতে কিছু দেখাতে পছন্দ করি.যাই হোক এই মূহুর্তে পৃথিবীব্যপী আরেকটি অস্থিরত এবং বাজে সময় পার করছি.আর এই সময়টা আগের চেয়ে কোন অবস্থাতেই কম নয়.বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলছে বিশ্ব খাদ্য সংকটে পড়তে পারে.
অন্যদিকে বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে তাদের খাদ্য মজুদ করা শুরু করেছে.ওপেন করে দিয়েছে খাদ্য আমদানী .পার্শ্ববর্তী দেশ গম রপ্তানী করা বন্ধ করেছে.যদিও তারা বলছে বাংলাদেশেকে তারা গম সরবরাহ করবে.পাকিস্তান গাড়ী সহ সকল বিলাসি দ্রব্য আমদানী নিয়ন্ত্রন করছে.
লংকাকান্ড সবাই দেখছে.আমাদের সরকার জনগনের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ১ কোটি পরিবারকে সহযোগীতা করছে. সরকার বাজার নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করছে. কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীদের কারনে বিব্রত হতে হচ্ছে সরকার এবং জনগন. ভোক্তা অধিকার বাজারে অভিযান চালানোর কারনে
একটি ব্যাবসায়ি মহল ক্ষোভ প্রকাশ করছেন.কিন্তু আপনারাই সমাধান দিন কি করা যেতে পারে.কেননা জনগনকে জিম্মি করে বাণিজ্য করলে সরকার বসে তামশা দেখবে না কি ব্যাবস্থা নিবে.???? কেননা সরকার জনগনের জন্য.সরকার ব্যাবসা করে না.বার বার তাদের সহযোগীতা কামনা করেছে.অনেকেই কথা দিয়েছেন এবং কথা রেখেছেন.পাশাপাশি অনেকে মাল মজুদের কারিশমা দেখিয়েছেন.পিয়াজ আমদানী করলে দাম কমে ,আর বন্ধ করলেই দাম বাড়ে.চাপ পড়ে ভোক্তার পকেটে.ভোক্তা কষ্ট পায়.আর এদিকে
সবকিছুতেই রাজনীতির গন্ধ খোঁজ করে অপরাজনীতির মানুষ গন. পদ্মা সেতু নির্মান হলো .আশা করা যায় ২৫ জুন উদ্বোধন হতে পারে.মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেছেন আমাদের টাকায় অর্থাৎ জনগনের টাকায় নির্মান হয়েছে এই ঐতিহাসিক সেতু.মির্জা ফখরুল সাহেব আবার বলতে লাগলেন এই সেতু জনগনের টাকায়.তাহলে এতোদিন বিরোধিতা করলেন কেন???.যাই হোক অর্থনৈতিক মন্দা আর বিশ্বব্যপী যে অস্থিরতা চলছে ,তা মোকাবিলা করার জন্য সরকার বসে নেই .আমরা আশা করি বাংলাদেশ সামলে উঠবে তার কিছু সঠিক সিদ্ধান্তের কারনে.রিজার্ভ আমাদের এখন ৪২ বিলিয়ন.যদিও চাপ আছে. বিনিয়োগ,রপ্তানি.শ্রম শক্তির সহযে প্রেরন,রিক্রুটিং এজেন্সী গুলোকে কাজে লাগানো.খাদ্য আমদানী সহজ করলে অবশ্যই আমরা নিরাপদ থাকবো -তবে যখন তখন ভ্যাট ট্যাক্স কমানো বা প্রত্যাহার করার সুযোগ দেয়ার বিষয়েও ভাবতে হবে.কেননা রাষ্ট্র জনগনের স্বার্থে কখন কোনটি প্রত্যাহার আর বাড়ানো দরকার তা অবশ্যই বিবেচনা করবে.
একশ্রেনীর আঁতেল আর বর্জুয়া টাইপের রাজনিতীবিদ এর
কারনে এলোমেলো হয় জনগনের গতিপথ.এ দেশ গড়ে উঠেছে এবং আজকের যায়গায় এনেছে রাষ্ট্রর ব্যবসায়ীগন.শিল্পপতিদের অবদান.সরকারে সহযোগীতা এবং সঠিক নিতীমালার কারনে. লক্ষ লক্ষ চাকুরী আর প্রজন্মের অবদান স্মার্ট বাংলাদেশ এর. বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আর বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর হাতে গড়া এ দেশ সঠিক ভাবেই লক্ষ্যস্থানে পৌছাবে.তার জন্য রয়েছে সকলের দেশপ্রেম এর
অনুভূতির বহিপ্রকাশ .যে জাতী ধৈর্য্য ধারন করে তাদের প্রতি আল্লার রহমতের দৃষ্টি থাকে.তাই আশা করি পথ হারাবে না বাংলাদেশ .