31.1 C
Rangpur City
Saturday, September 21, 2024
Google search engine
Homeমতামতনিয়ন্ত্রন নয় আমার অধিকার.

নিয়ন্ত্রন নয় আমার অধিকার.

তুহিন চৌধুরী
রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক।

বিদেশে কর্মি প্রেরন এর ক্ষেত্রে যতদূর জানতে পারলাম মূল কথা ১।ডিমান্ড লেটার.২।ঐ দেশের লেবার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এর অনুমোদন.৩।বাংলাদেশ দূতাবাস এর কোম্পানি ভিজিট করে শ্রমিক এর থাকা সুযোগ সুবিধা কি রকম আছে এবং সন্তষ্ট হলে সত্যায়িত করা.
৪।বাংলাদেশ এ যে সহায়তা দানকারি প্রতিষ্ঠান এর অনুকুলে চুড়ান্ত কাগজ অনুমোদন পেলো তিনি বাকি প্রক্রিয়া সম্পাদন করবেন.৫।আমাদের বাংলাদেশ এর প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় এর আওতায় বি এম ই টি সহ তারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন
এবং৬।যাবার প্রক্কালে বাংলাদেশ পার্ট এ এয়ারপোর্ট এ ইমিগ্রেশন সকল কাগজ পত্র বৈধ বা ঠিক আছে কি না তা দেখে দ্রুত সহায়তা প্রদান পূর্বক যাত্রী গমন করবেন .৭। শ্রমিক যেই দেশে গমন করলেন ঐ দেশের ইমিগ্রেশন তখন সকল কাগজ পত্রাদিদেখে সেই দেশে তাকে ঢোকার জন্য সহায়তা করবেন.

এখন এদিকে বাংলাদেশ এর যে সকল শ্রমিক যাওয়ার জন্য সহায়তাদানকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ,তারা বাংলাদেশ সরকার কে সকল প্রকার ট্যাক্স /ভ্যাট সহ বিভিন্ন লাইসেন্স ফি প্রদান করেন এবং বৈধ হিসাবে মন্ত্রনালয় কর্তৃক স্বিকৃতিপ্রাপ্ত তাদের নিয়ন্ত্রন এবং সকল নির্দেশনা দেয়ার মালিক বাংলাদেশ .কিন্তু গত কয়েক মাস যাবত আমরা মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে যে জটিলতা চলছে বা তর্ক বিতর্ক হচ্ছে ,
তা নিয়ে একপ্রকার ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দেখছি.অদ্ভুত কি যেন একটা অদৃশ্য শক্তি না কি বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ,না কোন এক অজানা কারন!?

তাহলে যারা তথাকথিত ভাবে কথা বলছি আর ভাবছি নিশ্চই সেখানে আছে কোন না কোন অসস্থি. আমরা যারা ততো কথা বুঝি না
কেউ আমাদের কথা শুনবেন না. আমরা দেশ আর জনগন বা শ্রমিক গেলে ভালো থাকবে সকলে. তাহলে কেন আমরা এত ধকলে.একটা বিষয় এখানে লক্ষ্যনীয় ,যা কেউ বুঝলেও আমরা তা বলছি না ,তা হলো -মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী বললে তারা আমাদের এত বেশী সংখ্যক রিক্রটিং এজেন্সী নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না. তাকে এই কথা বলা বা তিনি এই কথা বলার অধিকার রাখেন কিনা? আরেকটি তিনি অপবাদ বা অপব্যাখ্যা করেছেন যে ইতিপুর্ব বাংলাদেশ হতে শ্রমিক গিয়ে ডাম্পিং স্টেশন বানিয়েছিলো.

কেননা বাংলাদেশ সহ ১৫ টি সোর্চিং কান্ট্রি আছে তাদের .সেখানে ১৪ টির বেলাতে এই কথা তিনি বলছেন না.
কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তিনি এ কথা তিনি বলছেন.তার এই কথা কুটনৈতিকভাবে স্বিকৃতি দেয় কি না তা আমার অবশ্য জানা নেই.
এখানে নিশ্চই কোন না কোন শুভংকর আছে যা তিনি বা সংশ্লিষ্টগন নিয়ন্ত্রন করতে সুবিধা হবে. তাছাড়া তার দেশের উপর বর্তায় সে দেশের ইমিগ্রেশন কিভাবে ঢুকতে দিলো বা তার মানব সম্পদ মন্ত্রনালয় কিভাবে কোটা অনুমোদন দিলো ? তা তো আর আমাদের জানা নেই,
কিন্তু তিনি বাংলাদেশীদের ডাম্পিং ষ্টেশন হিসাবে তুলনা করলেন এবং আমাদের জন্য এটি লজ্জাজনক বিষয়. এটি দ্বায় তাদের নিতে হবে.
অথচ সেখানকার কোম্পানিগুলো পরিস্কার ভাবে বলছে তাদের বাংগালি কর্মি পছন্দ সবার আগে. এদিকে আই এল ওর চোখ রাঙাচ্ছে .
বলছে বিদেশি কর্মি নিয়োগ এ সচ্ছতা নিরুপন করার জন্য. সেখানে আমরা কেন তার কথায় সায় দিচ্ছি??

অনেক ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে আমাদের বিজ্ঞদের বলতে দেখেছি সিমিত সংখ্যক যা ইতিমধ্যে দির্ঘদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে সিন্ডিকেট ,
তা এপাড় হতে অনুমোদিত হোক বা অন্যদেশ হতে অনুমোদিত হোক কোন কালেই তা বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা কমিশন আইন এ
অপরাধ এবং সমর্থন করে না. তাছাড়া ইতিমধ্যে বাজারে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার হতে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচ
চাওয়া হচ্ছে.কিন্তু উন্মুক্ত হলে প্রতিযোগিতায় তা হবে কম খরচ. এমতাবস্থায় আলোচনা সমালোচনা যাই হোক
সুষ্ঠু সমাধান আমাদের সকলের চাওয়া.মাননীয় প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী মহোদয় এ ব্যাপারে শক্ত ভূমিকা রাখছেন.
হয়তোবা তিনি তার কাজ এ সফলতা পাবেন. এটাও ঠিক মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় সব কিছু বিবেচনা পূর্বক কথা বলতেই পারেন সরাসরি মালয়শিয়ার উচ্চ পর্যায়ে .

অন্য দেশ গুলো যেই প্রক্রিয়ায় কাজ করে একই প্রক্রিয়া আমাদের জন্য হোক.আমার দেশের শ্রমিক যাক কম খরচে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া.আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সীগুলো নিয়ন্ত্রন বা দিক নির্দেশনা দেয়ার ক্ষমতা রাখে আমার দেশের সরকার অন্য কোন দেশ নয়.
তাতে আমাদের কোম্পানিগুলোর অধিকার ক্ষুন্ন করা হয় ঐ বক্তব্যর কারনে. আমার দেশের গর্বিত শ্রমিক
ঐ দেশে যাবে যেহেতু বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক রয়েছে উভয় দেশের মধ্যে.আমাদের শ্রমিকের সুনাম রয়েছে সে দেশে.রয়েছে আমাদের অনেক
শত শত ব্যাবসায়ী.

যারা সুনামের সংগে বাণিজ্য করছে.করোনাকালিন সময় কোন এক বাংগালির বক্তব্য আল জাজিরা টেলিভিশন এ উঠে আশায় বিপাকে পড়েছিলেন শত শত বাংগালি ব্যাবসায়িগন.পরে মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী এবং তৎকালিন সচিব ড.জাফর মহোদয় এর মূখ্য ভূমিকায় মালয়েশিয়ার সেদিন কয়েকশত ব্যাবসায়ী উপকৃত হয়েছিলেন যা কেউ মনে রেখেছেন কি না আমার জানা নেই.
কেননা সেদিন বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীগন এর উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিলো
সে দেশের প্রশাষন ঐ ছেলের বক্তব্য যা আল জাজিরা টেলিভিশন এ প্রচার করা হয়েছিলোএবং অপারেশন চালিয়েছিলো পুলিশ.ঐ অবস্থায় তাদের দেশে ফেরত আসলে ভয়াবহ অবস্থা হতো তাদের এবং সারা জীবনের পূজি ফেলে আসতে হতো.
সেদিন অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো.কে তাকায়নি.এমন কি কর্তাব্যাক্তিদের নজর ছিলো অন্যত্র ,কেননা কোভিড এর ভয়াবহতা বা আগ্রাসী অবস্থান ছিলো.

যাই হোক আমরা চাই বন্ধুত্ব .আমরা চাই আমাদের শ্রমিক ভালো থাকুক.আমাদের রেমিটেন্স প্রবাহ ঘুরে দাড়াক.
একটি বিষয় সম্ভবত আজকের বাজারে রিংগিত প্রায় ২৫ টাকা কেনাবেচা চলছে বাহিরে. যারফলে অনেকে এখন বৈধ পথে টাকা পাঠাচ্ছেন না সম্ভবত.কেননা অস্থিরতা চলছে .থামবে হয়তো একসময়.তবে সঠিক সময় সঠিক ব্যাবস্থা না নিলে কি হয় তা সকলেই বোঝে. আমাদের দেশ ভালো চলুক ভালো থাকুক,তার গতি পথে বাঁধা কেটে যাক তাই কামনা করি.

News Desk
News Deskhttps://sotterkontho24.com/
রোড নংঃ ৫/১, বাসা নংঃ ৩৮৮, হোল্ডিং নংঃ ৪৪৫ স্টেশন রোড, আলমনগর, পীরপুর, রংপুর। মোবাইলঃ ০১৭৩৬৫৮৫৭৭৭
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয় নিউজ

সাম্প্রতিক মন্তব্য