রংপুর জেলা প্রতিনিধি-
নিম্ন মানের উপকরণ ও বাসি তেলে তৈরি হচ্ছে মুখরোচক চানাচুর। প্রতিদিন ৬০/৭০ কেজি সরবরাহ করা হচ্ছে রংপুর সিটি বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে এমনি এক ভয়ঙ্কর চিত্র ধরা পড়লো নগরীর ধর্মদাস এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে অবস্থিত “ফাতেমা সুইটস এন্ড সবুজ চানাচুর” কারখানায়।
সেখানে অভিযান চলাকালে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পন্ন বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন, টেস্টিং সল্ট, নিম্ন মানের রং সহ বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়।
নিম্ন মানের আটা ময়দা ও বেসনের সাথে রং মিশিয়ে তিন চার দিন আগের বাসি তেলে ভাজা হচ্ছিল চানাচুর এ ব্যবহৃত বাদাম, মটর, মুরালি, ঝুড়ি সহ নানান উপাদান। পরে তা ঘড়ের ভেতরে খোলা মেঝেতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পন্ন মসলা যোগে তৈরি হচ্ছে মুখরোচক চানাচুর।
একই বাড়িতে কবুতর ও মুরগি পালন করায় উৎপাদিত চানাচুর ও অনুৎপাদিত উপকরণের আশেপাশে পড়ে থাকতে দেখা যায় বিষ্ঠা। ঐ প্রতিষ্ঠানের সামগ্ৰিক পরিবেশ ও উৎপাদন প্রক্রিয়া বিবেচনায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৩ ধারায় তাৎক্ষণিক ১২,০০০ টাকা জরিমানা করেন সহকারী পরিচালক, জনাব মো:আরিফ মিয়া।
ওদিকে প্রস্তুতকৃত খাদ্যে খোলা লবণের ব্যবহার, ফ্রিজে কাঁচা ও রান্না করা খাবার একই সঙ্গে সংরক্ষণ করা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে দমদমা এলাকায়, মোল্লা হোটেল” কে ঐ একই ধারায় ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন তিনি।
অপরদিকে মডার্ন মোড় এলাকায় ডিসপ্লেতে প্রচুর পরিমাণে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখায়,”আরিফ মেডিসিন” কে নগদ ৩৫০০০ টাকা জরিমানা করেন ঐ বিভাগের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযান চলাকালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। পুরো অভিযানে সহায়তা করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স। এ সময় অভিযানে ক্যাব রংপুরের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে কর্মকর্তাবৃন্দ জানিয়েছেন।