বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, দেশে চাউল, ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন মসলা সহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশে মূল্য নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী বাজার মনিটরিং এবং অভিযান জোরদার করেছে। আমদানি নির্ভর পণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীগণকে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করতে হবে। প্রয়োজনের তুলনায় দেশে পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ রয়েছে।
বাণিজ্যসচিব বলেন, বাজারে যাতে পণ্য সরবরাহে কোন ধরণের ঘাটতি বা ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় অথবা কৃত্রিম উপায়ে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করা না হয়, সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবি’র মাধ্যমে ভর্তুকী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খোলা বাজারে বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় আড়াইগুণ বেশি পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। অন্যায় ভাবে পণ্যের মজুদ করলে বা কৃত্রিম উপায়ে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে সরকার আইন মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বাণিজ্যসচিব আজ (২৫ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যসচিব বলেন, বাজারে চাউলের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার চাউল আমদানি শুরু করেছে এবং আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমদানিকৃত ভোজ্য তেল এবং চিনির যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন এবং সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল-বেরুনী, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা এম মুর্তজা রেজা, টিকে গ্রুপের পরিচালক মো. আথহার তাললিম, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহা-ব্যাবস্থাপক কাজী সালাহ উদ্দিন আহমেদ, মেঘনা গ্রুপের ডেপুটি এ্যাডভাইজার মো. শফিউর রহমান, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডের দিদার মোহা. দবিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিগণ।