এখন থেকে অভিভাবকদের পছন্দের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে যাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা । আগে পুরো অর্থ যেত শুধু নগদের হিসাবে। নগদের সঙ্গে আগের একক চুক্তিটি বাতিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
পাশাপাশি দেশের মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও এমক্যাশের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে উপবৃত্তি বিতরণে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে।
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ ও শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ ধরে রাখতে উপবৃত্তি দেয় সরকার। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে চালু হওয়া নগদ লিমিটেডের হিসাবের মাধ্যমে এই বৃত্তি দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। এতে বড় ধরনের অনিয়ম হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে উঠে আসে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে নগদ লিমিটেডের উদ্যোক্তারা পালিয়ে যান। এরপর নগদের দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি সরকারি অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গত ২৯ সেপ্টেম্বর চিঠিতে বলা হয়, ডাক অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ লিমিটেডের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি বাতিল করা হলো। অর্থ বিভাগের নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকা ও নগদ লিমিটেড চুক্তিপত্রের সব শর্ত যথাযথভাবে পালন করতে না পারার কারণে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও ১৩টি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২৬ অক্টোবর থেকে দেশের সব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করে। চিঠিতে উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দ্বারা মোবাইল সিম ও এমএফএস হিসাব নিবন্ধন নিশ্চিত করতে বলা হয়।
(শিক্ষা ডেস্ক)






