সাজেদুল করিম :
বিশ্বে উৎপাদিত শস্যের মধ্যে গম একটি। এই শস্যের উৎপত্তি মধ্যপ্রাচ্যের অঞ্চলগুলোতে। তবে বর্তমানে গম সারাবিশ্বে চাষ করা হয়। গম মানুষের খাদ্যে থাকা অত্যন্ত আবশ্যক।গম পুষ্টিকর খাদ্যশস্য যাতে অধিক পরিমাণে প্রোটিন আছে। খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত উৎপাদিত শস্য অনুযায়ী, গম রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। আদি শস্য উপাদানের মধ্যে গম বিস্তর পরিমাণে চাষ করা যায় এবং এই শস্য দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণে রাখা যায়।নভেম্বর মাসেই সকল প্রকার উচফলনশীল জাতের গম চাষাবাদের মুখ্য সময়। গমের জমিতে নিয়মিত খুরপি, নিড়ানির সাহায্যে আগাছা তুলে দিতে হয়। জমিতে বিভিন্ন ধরনের আগাছার দেখা যায়। যথা-ফ্যানা ঘাস, করাত ঘাস, বাথুয়া ইত্যাদি।গমের কীট শত্রু মাজরা পােকা, কটুই পােকা, উইপােকা ইত্যাদি। ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে গম পরিপক্বতা লাভ করে। গমের খড় সহ গম কাটা হয়। গম রােদে শুকিয়ে নিয়ে পাটার উপর পিটিয়ে বা ঝাড়াই মেশিনে গম ঝাড়া হয়। গমের দানা পরিষ্কার করে দুই থেকে তিন দিন রােদে শুকিয়ে নিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। গমের দানা মিলে ভেঙে আটা, ময়দা ও সুজি তৈরি করা হয়। আটা দিয়ে রুটি ও ময়দা দিয়ে পাউরুটি, বিস্কুট, কেক বিভিন্ন খাবার তৈরি করা হয়। সুজি থেকে হালুয়া, পায়েস ও বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করা হয়। গম ভেঙে ছাতু তৈরি করা যায়।এই ছাতু বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের প্রধান খাবার। গমের খড় ছােটো ছােটো করে কেটে গৃহপালিত গবাদি পশুকে খাওয়ানাে হয়। গমের ভুষি গবাদি পশুর অন্যতম খাদ্য। গমের খড় কাগজশিল্পে ও জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।