থাইরয়েড গ্রন্থি একটি প্রজাপতি আকৃতির অঙ্গ। বাম ও ডানে দুই লোব ইস্থমুস দ্বারা সংযুক্ত থাকে।
জন্মগত থাইরয়েড সমস্যা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের থাইরয়েড সমস্যা নিয়ে সচেতনতা থাকলেও, কৈশোরে থাইরয়েড হরমোনের অভাব তুলনামূলক কম আলোচিত।
কৈশোরে দেখা দেওয়া হাইপোথাইরয়েডিজম অনেক সময় জন্মগতই কিন্তু দেরিতে প্রকাশ পায়, যাকে লেট অনসেট কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। আবার নতুনভাবে কৈশোরেই সমস্যাটি শুরু হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অটোইমিউন থাইরয়েডাইটিস এই সমস্যার প্রধান কারণ। এর পেছনে জেনেটিক এবং পরিবেশগত প্রভাব কাজ করে।
কৈশোরে থাইরয়েড হরমোনের অভাবে দেখা দিতে পারে – উচ্চতা বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত বা বিলম্বিত হওয়া,ওজন বেড়ে যাওয়া,কোষ্ঠকাঠিন্য, চোখ-মুখ ফুলে যাওয়া বা ত্বকের শুষ্কতা, দুর্বলতা, ক্লান্তি, এবং বেশি ঘুমানো, মনোযোগ এবং উদ্যমের অভাব,
যৌবনপ্রাপ্তি বিলম্বিত হওয়া বা আগেভাগে হয়ে যাওয়া। কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা বা দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দিলে রোগনির্ণয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা জরুরি।
সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজম
হাইপোথাইরয়েডিজমের রিপোর্ট বর্ডারলাইনে থাকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। একে বলে সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজম। (স্বাস্থ্য ডেস্ক)