ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস কলার খোসা । কলার খোসায় ময়েশ্চারাইজ়ার এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি, তাই ত্বকে আর্দ্রতাজনিত সমস্যা দূর করতে ও মাথার ত্বকে জমে থাকা ধুলোময়লা এবং খুশকি পরিষ্কার করতেএটি ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যারও নিরাময় হয় কলার খোসার গুণে। আবার নিষ্প্রাণ চুলের যত্নে পাকা কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
সব থেকে সহজ পদ্ধতি হল, কলার খোসা দিয়ে ত্বকে ঘষে নেওয়া। বলিরেখা দূর করতে, ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে, পা ফাটার সমস্যায় কাজে আসে এই টোটকা। তবে তাড়াহুড়ো করলে হবে না, সময় নিয়ে ভাল করে ত্বকের উপর ঘষলে তবেই কাজ হবে।
কলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাকও বানানো যায়। কলার খোসায় ভিটামিন বি ৬, বি ১২, জিঙ্ক, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বকের জন্য বেশ উপকারী এটি। কলার খোসা, সামান্য কলা মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটির সঙ্গে এক চামচ মধু, এক চামচ দই ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে এবং ঘাড়ে ভাল করে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট পরে ভাল করে ধুয়ে নিলেই জেল্লা আসবে ত্বকে।
চোখের তলায় কালি পড়লে,কলার খোসা টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খোসাগুলি বার করে চোখের উপরে বসিয়ে নিন। কয়েক দিন টানা ব্যবহার করলে বেশ ভাল ফল পাবেন।
পাকা কলার খোসা আর অলিভ অয়েলের মিশ্রণ ব্যবহার করলে ক্ষতিগ্রস্ত চুল অনায়াসেই ফিরে পাবে সুস্বাস্থ্য। চুলে লাগান কলার খোসা দিয়ে তৈরি প্যাক। চুল মোলায়েম হবে দ্রুত। কলার সঙ্গে দই ও মধু মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে চুলে লাগান। চুল ফিরে পাবে তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।
(স্বাস্থ্য ডেস্ক)