কোনো প্রসাধনী ব্যবহার না করে যদি শুধু চন্দন মাখা যায়, তাহলেও বাকিদের নজর কাড়বে ত্বক।ব্রণ-ফুসকুড়ি থেকে খসখসে ভাব— ত্বকের যেকোনো সমস্যার সমাধান রয়েছে চন্দনের কাছে।
ত্বকের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জমে থাকা ময়লা দূর করতে স্ক্রাবার ব্যবহার করা জরুরি। তবে সেই স্ক্রাবার যদি হয় চন্দনের, তা হলে বাড়তি সুফল পাওয়া যায়। চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে অল্প চিনি, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে। মিশ্রণটি বেশি পাতলা হলে চলবে না। থকথকে হতে হবে। স্ক্রাবার ত্বকে মেখে খানিক ক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণর সমস্যাও কমে যাবে। এই মিশ্রণে চাইলে গোলাপজলও মেশাতে পারেন।
চন্দনের কিছু ধরন আছে। শ্বেতচন্দন এবং রক্তচন্দন বাজারে পাওয়া যায়। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে লাল চন্দন বেশি ভাল। তবে চন্দনের গুঁড়ো সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা ঠিক হবে না। রাতে কাঁচা দুধে চন্দন গুঁড়ো ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে প্যাক হিসাবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের গভীরে গিয়ে ময়লা পরিষ্কার করবে এই প্যাক।
শুধু ত্বক নয়, চুলের জন্যেও বেশ ভালো কাজ করে চন্দন। চন্দন তেল যদি চুলে মাখতে পারেন, তা হলে সত্যিই উপকার পাবেন। নারকেল তেলের সঙ্গে খানিকটা চন্দনের নির্যাস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যেই পরিবর্তন চোখে পড়বে।
(স্বাস্থ্য ডেস্ক)