বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, বাাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন এভ্রিথিক্স বাট আর্মস স্কিম এর আওতায় বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ রপ্তানি পণ্যের উপর জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে। গ্রাজুয়েশনের পরও তিনবছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্য আলোচনা অব্যাহত রেখেছে, যাতে বাংলাদেশ ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সকল বিধি-বিধান মেনেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে এবং সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের কাছে নতুন প্রযুক্তি এবং দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাজারের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষর করে বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন দেশের সাথে ন্যাগোসিয়েশন অব্যাহত রেখেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী ২৭ অক্টোবর,বুধবার বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১ এর “ইকোনমিক টাই অফ বাংলাদেশ এন্ড ইউরোপ নিউ রেগুলেটরি রিজুম” শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করেছে, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করেছে এবং কর্মবান্ধব পরিবেশে গ্রীন ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকরা কাজ করছে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশে ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। অনেক সময় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অসত্য তথ্য সরবরাহ ও অপপ্রচারের চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল এবং বাণিজ্যের প্রকৃত চিত্র দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, রপ্তানি কারক, ব্যবসায়ী সংগঠন এবং চেম্বারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। যাতে করে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পায়।
অনুষ্ঠানে শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট রেজওয়ান রহমান। বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, বিজিএমই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রুবানা হক, গ্রামীণ ফোন লি. এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন আজমান, ইস্টার্নডার্ড চার্টার্ড, বাংলাদেশে এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাছের ইজাজ বিজয়, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লি. এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এবং ইয়ন গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ এর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈন ইউডি দৌলা।