তুহিন চৌধুরী
রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক।
বর্তমান সময় ডিজিটাল ডিভাইসের বদৌলতে সকল খবর-চিন্তা চেতনা-গৃহিত পদক্ষেপ কি নেয়া হচ্ছে তা এক ক্লিকেই জানতে পারে এবং সবসময় হাতের নাগালে.করনিয় ঠিক করে ফেলে কর্তাব্যাক্তি বা কর্তৃপক্ষ .গ্লোবাল সমস্যা এখন সকলেই জানে বা বোঝে.এ দেশের একজন রিক্সা চালকও এখন মোবাইল চালায়.একজন কৃষক তার ফসলের জন্য কি করনিয় তা ইউটিউব দেখে ব্যাবস্থা নিতে শিখেছে.সন্তানদের
লেখা পড়া ,মিটিং সব কিছুই অনলাইন.ভার্চুয়াল,ডিভাইস এ. এই শব্দ গুলো আমরা এই বয়সে এসে জানতে পেরেছি.বলা হচ্ছে বাণিজ্য উৎপাদন জ্বালানি খাদ্য ঔষধ যার যার অবস্থানে সকলে মোকাবেলা করছে.চলছে গ্লোবাল সমস্যা এবং উর্ধমুখী মূল্য.
পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশ গুলো. আমাদের রেমিটেন্স আসে মূল গারমেন্ট ,রপ্তানী পন্য,. এছাড়া তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা আরেকটি বড় খাত হচ্ছে প্রবাসী আয়.এখন প্রবাসী আয় এর রেমিটেন্স প্রবাহ নেমে যাচ্ছে অনেক কারনে. এদিকে মালয়েশিয়া সহ আরো অনেক দেশ চাহিদা পত্র দিচ্ছে.কিন্তু অনেকগুলি সত্যায়িত হচ্ছে আবার অনেকে জমা দিয়েছেন মালয়েশিয়া দূতাবাস এ যা আজও সত্যায়ন করা হচ্ছে না.সদুত্তর মেলে না কোম্পানির মালিকদের . এমনও নাকি বলা হচ্ছে সিস্টেম এ যান. কিন্তু জটিলতা আর এক প্রকার ক্ষমতা টাকা না অন্য কোন কারনে এখানে একটি জোট কাজ করছে?? ১৫ টি দেশ শ্রমিক পাঠায় মালয়েশিয়া.কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যে জটিলতা তৈরী করা হয়েছে তা নিয়ে খোদ মালয়েশিয়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি .আসলে কোনটি বাস্তব আর কোনটি নাটক তা বোঝা মুশকিল. বুঝতে পারলেও কর্তৃপক্ষ পরিস্কার করেও বলছে না কোন কিছু .
প্রচুর পক্ষ বিপক্ষ তর্ক যুদ্ধ চলছে.অনেকে চুপচাপ.কেউ মূখ খুললেও সতর্ক ভাবে কথা বলছেন.কিন্তু এখানে এই সেক্টরে অনেক আগেই শ্রমিক প্রেরন করা বা উদ্দেগ গ্রহন করা যেত পরিস্কার ভাবে তা অনেক বিজ্ঞ জনই আলোচনায় বলেছেন.গত কয়েকদিন মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় এর দিকে তাকিয়ে ছিলো এই সেক্টর.গতকাল মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় তার বক্তব্য দিয়ে পরিস্কার করে বলেছেন মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিবে. কিন্তু আমি জানি না আমাদের দেশের অর্থনীতির যায়গায় শক্ত ভূমিকা রাখে আমাদের গর্বিত শ্রমিকগন এটা সকলেই জানে মানে ,কিন্তু সেই যায়গায় এই সেক্টরে সহায়তা প্রদানকারী বৈধ লাইসেন্স এর যারা নিয়োজিত আছেন বা শ্রমিক যাওয়ার ক্ষেত্রে তার পছন্দের বা রিসিভিং দেশের কোম্পানি যাকে পছন্দ করে তার স্বার্থ ক্ষুন্ন করা হচ্ছে কিনা তার জবাব কার কাছে পাওয়া যাবে? আর এই শংকার কারনে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে যে সমস্যা বা দেরী হওয়ায় যে সুযোগ নষ্ট হচ্ছে এবং এই বৈরী পরিস্থিতি আমাদের দেশের জন্য ক্ষতি ডেকে আনছে তাতে কেন আমরা উদ্বিগ্ন নই ?
মাননীয় প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী মহোদয় বার বার বলছেন বৈধ তালিকা আমরা পাঠিয়েছি. কিন্তু তা আটকে আছে কেন তা বোঝা গেলেও আমরা তা জোর দিয়ে কি সমাধানে যেতে পারছি না কোন কারনে? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের শ্রমিকগন সুনামের সহিত কাজ করেন বিধায় প্রচুর চাহিদা.এটি সকলেই জানেন.মালয়েশিয়রা প্রতিটি সেক্টরে বাংগালি পছন্দ করে.অনেকের সংগে আলোচনা করে যা জানতে পারলাম তা হচ্ছে উন্মুক্ত ভাবে শ্রমিক গেলে সর্বনিন্ম খরচে যাবে আর তা যদি না হয় তা হলে অনেক খরচ বেড়ে যাবে.সকল লাইসেন্সধারীগন কোন এক যায়গায় কাজ করে না,কেননা একেক প্রতিষ্ঠান তার পছন্দ মতো দেশ এবং কোম্পানি বছে নেয়.কিন্তু ভ্যাট আইটি প্রদান করে সকল প্রতিষ্ঠান.এদিকে কাজ না করতে পারলে বি এম ই টি কর্তৃক নানা প্রশ্নের উত্তর যেমন দিতে হয় তেমনি লাইসেন্স রিনু করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়. তাহলে ব্যাবসা করতে কেন প্রতিবন্ধকতা ??
এদিকে আমাদের মূল রপ্তানীখাত তৈরী পোষাক ঔষধ শিল্প ২০২৬ এর পর অনেক সুযোগ হারাবে বলা হচ্ছে এবং প্রতিযোগিতায় নামতে হবে টিকে থাকতে হলে. সেই ভবিষৎ এর কথা বিবেচনা করে হলেও এই সেক্টরের একটি পরিছন্ন পরিবেশ অতিব জরুরী,কেননা এই সেক্টর এখন এত বড় এবং প্রয়োজনীয় তা সকলেই বোঝে মানে কিন্তু কাজ হয় না.যারাই বিগত দিনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার কতটুকু সফল তা বোঝা যায় বর্তমান পরিস্থিতি দেখলে. এখানে কেন হ য ব রল অবস্থা তাও কিন্তু নিহিত.
তাই সঠিক নেতৃত্ব তৈরী হওয়া দরকার বায়রা নির্বাচনে.কেননা শ্রম এখন আন্তর্জাতিক ভাবে শিল্প বিবেচনা করা হয়.আর এই সেক্টরে যারা ব্যবসা করেন তাদের আড় চোখে দেখা হয়. তাই নেতা হোক জনগন,দেশ,আর এই সেক্টরের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার মত সক্ষম মানুষটি.যিনি এই সেক্টরকে নিজ স্বার্থের উর্ধে উঠে কাজ করতে পারবেন. কেননা এখানে রক্ষক হয় ভক্ষক. তাছাড়া দেশ বা সেক্টর নিয়ে ভেবেছেন খুব কম নেতা.
বায়রা নির্বাচনের তফশীল ঘোষনা হয়েছে.তাই সতর্ক হতে হবে.ফাদে পা দিলে সাপ্লায়ার হবেন. আর সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করলে হবেন আপনি সহায়তাদানকরী প্রতিষ্ঠানের গর্বিত মালিক. সিদ্ধান্ত আপনার. যাই হোক না কেন আমাদের এই সেক্টরের একটি সুন্দর সমাধান হোক কেউ যেন প্রতারনার শিকার না হয় সে দিনটির জন্য তাকিয়ে সকলে. মুক্ত বাণিজ্য এখন সকলেই চায়. প্রতিযোগিতার বাজারে কম খরচে শ্রমিক প্রেরন হোক সকলের জন্য সুযোগ তৈরী হোক. দেশের অর্থনীতির ভূমিকা পালনকারী সকলের জন্য বাজার উন্মুক্ত হয়ে এই জটিলতার অবস্থান পরিস্কার হোক এই কামনা করি. আমাদের দেশ সুনামের সহিত এগিয়ে যাক.ধন্যবাদ -জয়বাংলা .