নাসার ক্রু-১০ মিশন শেষে পৃথিবী অভিমুখী যাত্রা শুরু করেছেন চার নভোচারী প্রায় পাঁচ মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) অবস্থানের পর।স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে চড়ে পৃথিবীর পথে রওয়ানা দিয়েছেন তারা।
নাসা জানিয়েছে, তারা ১৪৬ দিনের মিশনের সময় আইএসএসের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে পরিচালিত ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়-সংবেদনশীল গবেষণা’ নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসছেন। মহাকাশচারীদের করণীয় তালিকায় ২০০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ছিল।
মার্কিন মহাকাশচারী নিকোল আয়ার্স, ক্রু-১০ কমান্ডার অ্যান ম্যাকক্লেইন, জাপানি মহাকাশচারী তাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ান মহাকাশচারী কিরিল পেসকভের গামড্রপ আকৃতির ড্রাগন ক্যাপসুলে চড়ে ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলের একটি স্প্ল্যাশডাউন সাইটের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
পৃথিবীতে পৌঁছাতে তাদের সাড়ে ১৭ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল ৩টা বেজে ৩৩ মিনিটে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে তাদের অবতরণের কথা রয়েছে।
এই প্রত্যাবর্তন নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রাম-এর আওতায় আইএসএস-এ পাঠানো ১০ম ক্রু রোটেশন মিশনের সমাপ্তি ঘটাবে।এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুল আইএসএস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। পৃথিবীতে প্রবল গতিতে ফেরার সময় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ এবং বিশাল প্যারাসুট খোলার মাধ্যমে গতি কমিয়ে নরমভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবেন তারা।
সমুদ্রে অবতরণের পর স্পেসএক্সের উদ্ধারকারী জাহাজ ক্যাপসুলটি তুলে নেবে। এরপরই প্রায় পাঁচ মাস পর মহাকাশচারীরা আবার পৃথিবীর বাতাসে শ্বাস নিতে পারবেন। এর আগে চার সদস্যের মহাকাশচারীরা আইএসএস-এ একটি রুটিন মিশনে যাত্রা করেন গত ১৪ মার্চ।
ক্রু-১০ নামে পরিচিত এই দল মহাকাশে অবস্থানকালে বহু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন, যার মধ্যে উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে কোষের প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা ছিল। (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)