গ্যাস্ট্রিক-আলসার বা পেপটিক আলসারের সমস্যাকে অবহেলা করলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। আলসারের ফলে পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ স্তরে ক্ষত তৈরি হয়,যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক।
গ্যাস্ট্রিক-আলসার সমস্যার কারণ-
হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে, পাকস্থলীর মিউকাস স্তর নষ্ট করে দেয়, যার ফলে এসিড পাকস্থলীর দেয়ালে ক্ষত সৃষ্টি করে।
অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, চা-কফি বা অ্যালকোহলের অতিরিক্ত সেবন পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
প্রশমক বা ব্যথানাশক ওষুধের আতরিক্ত ব্যবহারে নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটার ড্রাগস যেমন অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন ইত্যাদির দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার পাকস্থলীর সুরক্ষা স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ধূমপান হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্ষমতা বাড়ায়, আর অ্যালকোহল পাকস্থলীর প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ সরাসরি আলসারের কারণ না হলেও এটি পাকস্থলীতে এসিড উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে, যা আলসারের ঝুঁকি বাড়ায়। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা বা একেবারে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস পাকস্থলীর অম্লতা বাড়ায়।
লক্ষণ সমূহ-
পেটের মাঝখানে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা। খালি পেটে ব্যথা বেড়ে যাওয়া। অম্বল, বুক জ্বালাপোড়া। বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।ক্ষুধামান্দ্য বা খাবাবের প্রতি অনীহা।কালচে মল ত্যাগ।
গ্যাস্ট্রিক-আলসার এড়াতে করণীয়-
বেশি মসলাদার, তেলেভাজা খাবার ও অ্যাসিটিক
পানীয় এড়িয়ে সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
খাবারে ফাইবার যুক্ত উপাদান, যেমন শাকসবজি, ফলমূল ও গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করুন। দীর্ঘ সময় খালি পেটে না থেকে এক-একবারে অল্প খান। কিন্তু সারাদিনে প্রতি খাওয়ার মাঝে ৪-৫ ঘণ্টার বেশি গ্যাপ দেবেন না। ধূমপান ও অ্যালকোহল আলসারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়,তাই এ থেকে
বিরত থাকতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকা।যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমান। শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি সংক্রমণের ক্ষেত্রে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স প্রয়োজন। প্রয়োজনে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন সুস্থ থাকুন।
(স্বাস্থ্য ডেস্ক