বাঁ কাঁধ বা হাতে ব্যথা যদি হৃদ্রোগের সংকেত হতে পারে, তেমনই ডান কাঁধের ব্যথা বা পেশিতে টান কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে।?
এক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি ছেলের ডান কাঁধে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়, এবং কাঁধের পেশি শক্ত হয়ে যায়। প্রথমে চিকিৎসকরা এটি ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ মনে করেছিলেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, ছেলেটি জ্বর, বমি এবং ডায়রিয়ার সমস্যা ভুগছে। এরপর, লিভারের অসুখের সঙ্গেও সম্পর্কিত কিছু লক্ষণ ধরা পড়ে। সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে জানা যায় যে, ছেলেটির পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে এবং সে ‘অ্যাড্রেনোকোর্টিক্যাল কার্সিনোমা’ নামে একটি ক্যানসারে আক্রান্ত। চার মাসের মধ্যে ছেলেটি মারা যায়।
গবেষকদের মতে, পিত্তথলিতে পাথর জমার প্রথম লক্ষণ হল পেটের ডান দিকের ব্যথা যা ধীরে ধীরে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছায়। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এবং বিলিরুবিনের কারণে পিত্তরস জমাট বাঁধে এবং ছোট ছোট পাথর তৈরি হয়। পাথরের সংখ্যা বাড়লে পেটব্যথা, কাঁপুনি, জ্বর, বমি এবং ডান পাঁজরের নিচে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এছাড়া পেশি ও অস্থিসন্ধির প্রদাহও দেখা দিতে পারে। তাই যদি ডান কাঁধে প্রচণ্ড ব্যথা কিংবা পেশিতে টান অনুভূত হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, হরমোনের সমস্যা, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা পিত্তথলিতে পাথর জমার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি। মহিলারা সাধারণত ডায়েটিং করার সময় পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেন না, যা শরীরে পুষ্টির অভাব সৃষ্টি করতে পারে এবং পিত্তথলিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ায়।
পিত্তথলিতে পাথর জমলে জন্ডিসের মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। তাই সবসময় সতর্ক থাকা জরুরি।।এ ছাড়া ঋতুবন্ধের পর হরমোনের ওঠানামাও এ রোগের কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খেলে এ রোগের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। (স্বাস্থ্য ডেস্ক)