তুহিন চৌধুরী
রাজনৈতিক -সামাজিক- ক্রীড়া সংগঠক।
মানুষ অসুস্থ হবার পর ডাক্তার এর কাছে যাবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। ডাক্তার তার অবস্থান থেকে একজন রোগীর জন্য কোন অসুখ এর জন্য কোন ঔষধ প্রয়োজন সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থাপত্র দিবেন । আমি আমাদের গৌরবজ্জল রংপুর মেডিকেল হাসপাতাল এর জন্য বরাবর কথা বলে আসছি এবং এখানে একধরনের দালালদের দৌরাত্ম্য সহ অখ্যাত কোম্পানির ঔষধ এর একটা রীতিমত বাজার তৈরী হয়েছে । এই অখ্যাত কোম্পানীগুলি কাজ হলো প্রতিদিন রংপুর মেডিকেল এর আউটডোরে ডাক্তারের চেম্বারের কাছে দাড়িয়ে থাকা এবং ডাক্তারকে উদ্বুদ্ধ করা তার ঔষধ এর নাম লেখা ।আমরা জানি ডাক্তারদের ভিজিট করে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি গন – এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু আজকাল এমন সব অখ্যাত ঔষধ কোম্পানি আসছে না তাদের কোন পরিচিতি বা সেইরকম কোন যোগ্যতা আছে ।এই সকল ঔষধ কোম্পানি অসাধু ডাক্তারগনদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং টাকার লোভে সে যা ইচ্ছা তাই ঔষধ লিখে দিচ্ছে ।
নিয়ন্ত্রনকর্তা বলতে কারা বা এখানে নতুন ডাক্তারগণ যদি এভাবে ব্যবস্থাপত্র দেয় অথবা চিকিৎসার নামে এভাবে প্রতারনা করে তাহলে প্রতিদিন রংপুর মেডিকেল এ ৪/৫ হাজার রোগী কি পরিমান প্রতারিত হচ্ছে তা একবার ভেবে দেখুন। কোথায় কর্তৃপক্ষ আর কে নিয়ন্ত্রন কর্তা? কাকে প্রশ্ন করবো কে নিবে ব্যবস্থা ? এবার আপনাদের সামনে একটি ব্যবস্থাপত্র দেখাচ্ছি। একজন রোগী আউটডোরে তার মুখের ঘা বা জিহ্বার ঘা এর জন্য গেলেন অতপর ডাক্তার যা দিলেন তা আমার কোন ডাক্তারগণ উত্তর দিতে পারলেন না । তারা ভেবেও পারল না এই ঔষধ গুলি কেন বা এই কোম্পানিগুলো কোথাকার?এবার বলুন কি পরিমান রোগী দৈনিক প্রতারিত হচ্ছে ? চাই সুস্থ রংপুর মেডিকেল । আর অসুস্থ দেখতে চাই না ।