৭ইমার্চ,২০২২,সোমবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক ভাষণের দিন। ৭ই মার্চ দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে দিনটি চির স্মরণীয়। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক উত্তাল জনসমুদ্রে এ দেশের মানুষকে স্বাধীনতার প্রস্তুতির ডাক দেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এ দেশের মানুষকে স্বাধীনতার প্রস্তুতিতে উজ্জীবিত করে।
স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন – বাঙালি জাতির মুক্তি কামনার একজন মহা- নায়ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর মতো কালজয়ী নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’র জন্ম না হলে হয়তো বাঙালি জাতিকে আজো পরাধীন থাকতে হতো। ১৯৫২ সালে ভাষা-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শোষকের দীর্ঘদিনের পরাধীনতার গ্লানি, অন্যায়, শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য জাতির উদ্দেশ্যে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন। তিনি এদেশের মুক্তিকামী মানুষের প্রতি ভাষণে উদাত্ত আহ্বান জানান – ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ তাঁর ১৮ মিনিটের জ্বালাময়ী ভাষণে বাঙালির অধিকার ও পাকিস্তানিদের শাসন ও শোষণের চিত্র তুলে ধরেন। তাঁর ভাষণে উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি এবং সংঘটিত হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তি যুদ্ধ ; স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।