31.1 C
Rangpur City
Saturday, September 21, 2024
Google search engine
Homeসাস্থ্য ও চিকিৎসাএডিস ইজিপ্টাই

এডিস ইজিপ্টাই

এডিস মশা ডেঙ্গু জ্বরের বাহক। ডেঙ্গু একটি কষ্টদায়ক রোগ । এই জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে ও শরীরে এর প্রভাব থাকে দীর্ঘ সময় ধরে। ডেঙ্গু প্রাণ ঘাতক রোগ নয়। বিশ্রাম ও নিয়ম মেনে চললে এই রোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।

ডেঙ্গু রোগের উৎস ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে। এই ভাইরাস বহন করে এডিস ইজিপ্টাই নামক মশা। এই জীবাণু বহনকারী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড় দিলে চার-ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে জীবাণুবিহীন সাধারণ মশা কামড়ালে মশাটিও ডেঙ্গু ভাইরাসের জীবাণু বহন করে। এভাবে মশা ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।

মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত, গরম ও বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের বিস্তার দেখা যায়।ডেঙ্গু মশার প্রভাব দেখা যায় শহরাঞ্চলে, দালান কোঠায়।

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে এডিস মশার বিস্তাররোধ আবশ্যক। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এডিশ মশা ডিম পাড়ে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার স্থানগুলো সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। মশা নিধনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রোগীকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

বসত বাড়ির আশপাশ ঝোপঝাড়, জলাশয় ইত্যাদি পরিচ্ছন্ন রাখা জুরুরী। স্বচ্ছ পানি জমে থাকে যেমন- ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার, মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব,বাথরুম,একুরিয়াম,ফ্রিজ,এয়ার কন্ডিশনার এগুলোতে যেন পানি জমতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।এডিস মশা সর্বদা কামড়ায় না।এটি সাধারণত সকালে ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তাই সাবধানে চলাফেরা করতে হবে।আক্রান্ত ব্যক্তিকে সব সময় মশারির মধ্যে রাখা শ্রেয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে যেন মশা কামড়াতে না পারে। মশার কামড় থেকে রক্ষা পাবার জন্য দিনে ও রাতে মশারী ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে।

News Desk
News Deskhttps://sotterkontho24.com/
রোড নংঃ ৫/১, বাসা নংঃ ৩৮৮, হোল্ডিং নংঃ ৪৪৫ স্টেশন রোড, আলমনগর, পীরপুর, রংপুর। মোবাইলঃ ০১৭৩৬৫৮৫৭৭৭
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয় নিউজ

সাম্প্রতিক মন্তব্য