রাফিনিয়া-ইয়ামালদের দাপটে ৪-৩ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে হানসি ফ্লিকের দল। যদিও ম্যাচের শুরুতেই কিলিয়ান এমবাপ্পে জোড়া গোল করে বার্সেলোনাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন। ইতিহাসে প্রথমবার এক মৌসুমে চার ক্লাসিকো জয়ের কীর্তি গড়েছে।
এই জয়ে লা লিগার শিরোপা একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলেছে কাতালানরা। লা লিগায় ৩৫ রাউন্ড শেষে ৭ পয়েন্টের লিড নিয়েছে বার্সা। বাকি তিন ম্যাচের একটিতে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে তারা। শেষ বাঁশির ঠিক আগে বার্সাও গোল উদযাপন করে। তবে তা বাতিল হয়ে যায়।
রিয়াল মাদ্রিদ মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয় ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে হারে। এরপর সুপার কাপ ও কোপা দেল রে’র ফাইনালে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নেয় ফ্লিকের দল। মৌসুমের শেষ ক্লাসিকোতেও হারল কার্লো আনচেলত্তির দল। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১০ মৌসুমে বার্সার পেপ গার্দিওলার অধীনে টানা চার এল ক্লাসিকোয় হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
রোববার রাতের ম্যাচে ৫ মিনিট হতেই গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। বার্সার পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি পেনাল্টি উপহার দেন রিয়ালকে। ১৪ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করে ফেলেন এমবাপ্পে। পরেই বার্সা কামব্যাক করে। ম্যাচের ১৯ মিনিটে কর্ণার থেকে নেওয়া কিকে গোল করেন বার্সা ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া। ৩২ মিনিটে বাঁ পায়ের দারুণ শটে দলকে সমতায় ফেরান লামিনে ইয়ামাল।
দুই মিনিট পরেই লিড নেয় বার্সা। এবার রিয়ালের এমবাপ্পে ও সেবায়োসের ভুলে বল পেয়ে যান পেদ্রি। ফাঁকায় বল পেয়ে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়া। ৪৫ মিনিটে ব্যবধান ৪-২ করে ফেলেন তিনি। ওই গোলে ফেরান তোরেসের চেয়ে লুকাস ভাসকেসের ভুলের অবদান বেশি।
দ্বিতীয়ার্ধেও দাপটের সঙ্গে শুরু করে বার্সা। রাফিনিয়া জালে বল পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক উদযাপন করলেও তা বাতিল হয়ে যায়। পরেই এমবাপ্পে করেন ওই হ্যাটট্রিক উদযাপন। তিনি ৭০ মিনিটে গোল করে ম্যাচ জমিয়ে দেন। এমনকি শেষ দিকে দলকে সমতায় ফেরানোর মতো দারুণ একটা সুযোগ পেয়েও তা হারান তিনি। (স্পোর্টস ডেস্ক)