লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। তবে অনেকেই জানেন না প্রতিদিন কয়টি লিচু খাওয়া যায়, সেই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে কীভাবে এই ফল খেতে হবে সে নিয়েও প্রশ্ন আছে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে ডা. পীযূষ মিশ্র এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন।
ডা. পীযূষ মিশ্র, একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান ও ইমিউনাইজেশন অফিসার, লিচুকে গ্রীষ্মকালীন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ৭টি কারণ উল্লেখ করেছেন:
১।লিচুতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় অংশ থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে চমৎকার কাজ করে।
২।নিয়মিত লিছু খেলে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়।
৩।লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
৪. লিচুতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা যেমন ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ দ্রুত শক্তি যোগায়।
৫.লিচুতে থাকা পলিফেনল এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ বিরোধী গুণ সম্পন্ন।
৬. যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য লিচু একটি দারুণ সংযোজন হতে পারে। এতে ক্যালোরি ও ফ্যাট কম থাকে এবং এর ফাইবার উপাদান ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে
৭.লিচুর প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ওজন বৃদ্ধি এড়িয়ে লিচুর উপকারিতা পেতে, প্রতিদিন ১০-১২টি লিচু খাওয়া যেতে পারে। এই পরিমাণ লিচু প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং অতিরিক্ত চিনি বা ক্যালোরি গ্রহণ এড়াতে সাহায্য করে।
সকালে বা মধ্য-সকালের স্ন্যাকস হিসেবে লিচু খাওয়া সবচেয়ে ভালো। খালি পেটে লিচু খেলে পুষ্টি শোষণ সর্বাধিক হয়। এছাড়া, সকালের নাশতা এবং দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময়ে এটি খেলে সারা দিন শক্তি বজায় থাকে এবং অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। (স্বাস্থ্য ডেস্ক)