বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটে চলেছে এমন অনেক ঘটনা, যা এতদিন কল্পনার বাইরে ছিল সবার। মুরগি আসলে পশু। তাই মুরগি হত্যা আইনত অপরাধ। এই মর্মে আদালতে মামলা দায়ের হয়।ঘটনাটি ভারতের গুজরাটের। সেখানকার হাইকোর্টে এই মর্মে মামলা দায়ের হয়।
অভিযোগ ছিল, জীবন্ত পশু কেন কসাইখানায় রাখা হবে? এক্ষেত্রে পশু বলতে বোঝানো হয়েছিল মুরগিকেই। কারণ, আইন বলে কোনো জীবন্ত পশু কসাইখানায় রাখা যায় না। তাহলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মুরগির দোকানে কেন জীবন্ত অবস্থায় মুরগি রাখা হয়, তা নিয়ে সরব হন মামলাকারী।
এদিকে, পাল্টা যুক্তি ছিল মুরগি আসলে পাখি। সুতরাং জীবন্ত অবস্থায় আটকে রাখলে আইনত কোনো অপরাধ নেই, এমন দাবিও ওঠে। বেশ কয়েকমাস প্রশ্ন-উত্তর চলে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সরকার পক্ষের আইনজীবী জানিয়ে দেন, মুরগিকে পশুর আওতায় রাখা হবে এবং যাবতীয় আইন সেইমতো কাজ করবে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই ঘটনার পরেও কেন মাংসের দোকানে জীবন্ত মুরগি রাখা হয়? কারণ একটাই, এই সংক্রান্ত কোনো আইনি নোটিশ বা নিয়ম জারি করা হয়নি। তবে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাতেও বিষয়টা ভুল বলা যাচ্ছে না। আসলে, ভাষার কারণে এমন বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।
কোন প্রাণী কোন প্রজাতির অংশ হবে তা স্থির হয় অ্যানিমাল কিংডমের ভিত্তিতে। সেই হিসেবে মুরগি অ্যানিমিলিয়া গোত্রের। অর্থাৎ তা আসলে অ্যানিম্যাল। বাংলায় যাকে বলে পশু। কিন্তু মুরগির ডানা রয়েছে, পালক রয়েছে, ডিমও পাড়ে, সেই হিসেবে পাখিও। সুতরাং বিতর্ক সহজে মেটার নয়। তবে আদালতে কিছুটা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে এই বিষয়ের। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)