ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরিটি দীর্ঘ প্রায় সাত লাখ বছর নিস্তেজ থাকার পর ফের সক্রিয় হওয়ার জোরালো ইঙ্গিত দিচ্ছে। আগ্নেয়গিরির আশেপাশে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগ্নেয়গিরির এই কার্যকলাপের কারণে এর আশেপাশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত সালফারের অপ্রীতিকর গন্ধের কারণে সৃষ্ট অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ায় অনেকে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও গ্যাসের গন্ধ পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি ও উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলেছে।
স্প্যানিশ ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের সিনিয়র লেখক ও আগ্নেয়গিরিবিদ পাবলো গঞ্জালেজ সতর্ক করে বলেছেন, একে এখন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন, কারণ এর আগে এটিকে কখনোই মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়নি। ভূতত্ত্ববিদরা সাধারণত ১১ হাজার ৭০০ বছর আগে থেকে অগ্ন্যুৎপাত না হওয়া আগ্নেয়গিরিকে মৃত বা বিলুপ্ত ধরেন। তবে তাফতানের সাম্প্রতিক কার্যকলাপের কারণে পাবলো এটিকে সুপ্ত বা ঘুমন্ত অবস্থায় আছে বলে উল্লেখ করেছেন। ভবিষ্যতে এটি বিস্ফোরিত হতে পারে—তা শান্তভাবেই হোক বা জটিলভাবে। তবে তাত্ক্ষণিক বিস্ফোরণের কোনো আশঙ্কা নেই।
লাইভ সায়েন্স জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত তাফতান আগ্নেয়গিরির চূড়ার কাছাকাছি একটি অংশের ভূমি প্রায় ৯ সেন্টিমিটার (৩.৫ ইঞ্চি) উপরে উঠেছে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন,এই ভূমি উত্থানের ফলে আগ্নেয়গিরির গভীরে ম্যাগমা ও গ্যাসের চাপ তৈরি হচ্ছে। যা সুপ্ত আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার প্রাথমিক লক্ষণ। (আন্তর্জাতিক ডেস্ক )