25.8 C
Rangpur City
Sunday, November 10, 2024
Google search engine
Homeজাতীয়ইইউ এর বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক

ইইউ এর বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন(ইইউ) দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করে আসছে, এজন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন বাংলাদেশকে প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছেন তিনি।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের বড় রপ্তানির বাজার। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর আগামী ১২ বছর এলডিসিভুক্ত দেশ সমুহের বাণিজ্য সুবিধা পাবার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে এলডিসি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এছাড়া, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর রপ্তানি বাণিজ্যে সুবিধা আদায় ও নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে বলেও তিনি বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, রবিবার ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মিস রিন্সজে টেরিঙ্ক এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মিস রিন্সজে টেরিঙ্ক বলেন, বাংলাদেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশিদার। বাণিজ্য ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশকে দেয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ দক্ষতার সাথে সফল ভাবেই কোভিড-১৯ মোকাবেলা করেছে। বাংলাদেশে চার বছর দায়িত্ব পালনে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি চমৎকার ও সম্ভাবনাময় দেশ। আগামী দিনেও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতের উন্নয়নের জন্য ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের সহযোগিতা রয়েছে। বাংলাদেশ এখন তৈরী পোশাক রপ্তানিতে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প এখন একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। চলতি করোনা মহামারি (কোভিড-১৯) এর কারনে বিশে^র অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শ্রমিকদের বেতন প্রদানের জন্য সরকার প্রনোদনা প্যাকের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান করছে। কোভিড-১৯ এর কঠিন সময়েও বাংলাদেশ অর্থনীতির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেছে। সরকার এবং তৈরী পোশাক শিল্পের মালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কারনে শ্রমিকদের উপর তেমন কোন প্রভাব পরেনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ ও কর্মবান্ধব। কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখন কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা খুশি।

এসময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমকর্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

News
Newshttps://sotterkontho24.com/
রোড নংঃ ৫/১, বাসা নংঃ ৩৮৮, হোল্ডিং নংঃ ৪৪৫ স্টেশন রোড, আলমনগর, পীরপুর, রংপুর। মোবাইলঃ ০১৭৩৬৫৮৫৭৭৭
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয় নিউজ