তুহিন চৌধুরী
রাজনৈতিক -ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক।
একবার রংপুরের এক এস পি মহোদয় সুরভি উদ্দ্যান পার্ক হতে বেশ কিছু ছাত্র/ছাত্রী কে নিয়ে আসলেন.সেটা নিয়ে বেশ হৈ চৈ পড়ে গেলো.মিডিয়ার অনেক ভাইয়েরাও রসালো গল্প ঝরালেন.কিন্তু এস পি সাহেব তিনি অনড় থাকলেন এবং গার্জিয়ানদের ডাকলেন .তিনি তাদের সাবধান করলেন বোঝালেন.
কিন্তু মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল.সেদিন তাকে সমর্থন করেছিলাম.কিন্তু সমর্থন করেন নাই যে সকল মানুষ বা দোষারূপ করেছিলেন তাঁরাই আজ সমাজের এই পরিস্থিতি এবং কিশোর গ্যাং জন্ম নেয়ার জন্য দায়ী.পুলিশ মাদক জুয়া কিশোর অপরাধের জন্য কোন উদ্দ্যোগ নিলেই সমালোচনা চলে.বলছি না যে কিছু ক্ষেত্রে ভূল হয় না ,তবে কিশোর গ্যাং এখন সমাজে ভাইরাস হিসাবে দেখা দিয়েছে
.বর্তমানে নতুনভাবে আতংক সৃষ্টি হয়েছে সমাজে.ইদানিং বাড়ির ওপাশের ছোট ছেলেটির আচরন চাহনি কেমন যেন বদলে গেছে.কথায় রুক্ষতা-কদিন পরেই লুকোচুরি আঙ্গুলের ফাকে সিগারেট .কিছুদিন পরে লক্ষ্যনীয় যেখানে সেখানে তার পদচারনা.চিৎকার করে কথা বলা.একটা পরিবর্তন তার চললে বলনে. তার মেজাজ আর ব্যাবহারে ততক্ষনে একটা ভীতিকর অবস্থা.এদিকে তার পরিবার বলে তারা কিছু জানে না .আবার অপরাধের কারনে কিছু বললেই তার পরিবারের উত্তর তার সন্তান এ কাজ করতে পারে না.
অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে চলে তার সন্তানকে নিরাপদ করা.কিন্তু তিনি বুঝলেন না তার সন্তানকে তারা বিপদে ঠেলে দিলেন.রাস্তায় নজরে পড়ে ডান্ডি নামে পলিথিন মূখে পথশিশু.রাস্তায় বিকট শব্দে মটর সাইকেল এর আওয়াজ তুলে ছুটে বেড়ানো উশৃংখল কিশোর দল. পাড়ার মোড় ,স্কুল কলেজের মোড়ে দাড়িয়ে আড্ডা ঐ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রের সংগে সখ্যতা গড়ে দলে ভেড়ানো.এরপর ধীরে ধীরে চলে আড্ডা তারপরে শুরু হয়ে যায় নেশার জগত এ দোলা .শুরু হয়ে যায় নানা অপরাধের কর্মকান্ড.আর এর শুরুটা হওয়ার পেছনে যদি বলা হয় আপন গৃহ হতে শুরু.
যেমন তার পারিবারিক শিষ্টাচার সহ ছোট থাকতে তার আচার আচরন এর সহিত দুষ্টমির সাথে সাথে ছোট অপরাধগুলোর দিকে দৃষ্টি না দেওয়া,আস্তে আস্তে তার স্কুলে যাতায়াত সহ লেখাপড়ায় মনোযোগ সৃষ্টি না হওয়া,হাতে তার ডিভাইস, তার জেদ পালন করা,আদব কায়দা খাওয়া সহ পোশাক এর প্রতি নজর সঠিকভাবে তদারকি না করা.স্কুল/কলেজের বন্ধুদের অসময়ে আড্ডা.রাত করে বাড়ি ফিরে মিথ্যা অজুহাতের বিষয়টি সম্পৃক্ত . এছাড়া অনেক সময় তার অপরাধের প্রতি সমর্থন ব্যাক্ত করা .
এর সাথে রয়েছে পাড়ায় কোন কিছু হলে অভিযোগ আসলে উল্টো সন্তানকে সমর্থন করাটাই আমাদের সন্তানের ভবিষৎ নষ্ট করার বীজ বপন করে দেই. আমরা সন্তানদের আদর করবো সাথে থাকতে হবে পারিবারিক শিক্ষা যা হতে তার সুন্দর ভবিষৎ রচিত হবে.এখন যে পরিস্থিতির মূখোমূখি আমরা এ যায়গায় সন্তানদের জন্য নিজ উদ্দোগ না থাকলে অন্ধকার জীবনে তাকে ঠেলে দেয়া হবে. আমরা নিজেদের অবস্থানে সন্তানের প্রতি কতটুকু দ্বায়িত্ব এখন পালন করি? শুধুমাত্র একগাদা বই তার পিঠে চাপিয়ে যেমন দেই তেমনি তার প্রতি নজর দেই অন্যভাবে খিটমিট্ মেজাজে.
বলছি না সবাই এককাতারে বা সন্তানকে নৈতিক পারিবারিক শিক্ষা কেউ দেয় না. কিন্তু সমাজে ঝরে পড়া শিশু/কিশোর/যুবক এরা আমাদের সম্পদ. কিন্তু কিশোর অপরাধ বাড়ার কারনে এখন মনে হচ্ছে বোঝা. অনেক বাবা মা ভয়ে আতংকে আছে সন্তানের অত্যাচারে , আবার অনেক মা/বাবা আহাজারী করে তার সন্তানের জন্য.এদিকে অনেক দুস্থ মেধাবী যখন ভালো রেজাল্ট করে তখন আনন্দ করে সকলে. তাহলে এক্ষেত্রে নিশ্চই পরিবার হতেই শুরু কিশোর গ্যাং তৈরী হবার প্রাথমিক আচরন. রাস্তার ধারের পথ শিশুকে নিয়ে আজকাল অনেকে কাজ করে .
কিন্তু আন্তরিকতা বা কতটুকু এর মধ্যে ভালো লাগা আছে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে. এদের মাধ্যমেই মাদক কেনা বেচা বা ক্যারিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করা হয়. একপর্যায় এরা সেবক এবং কিশোর গ্যাং প্রাইমারী জগত. শুরু হয় তার একটি আলাদা জগত.টনক নড়ে তার দারা বড় অপরাধ যখন নজরে আসে…… কি করতে হবে সকলেই বোঝে. কিন্তু পুলিশ যখন কাজ করে শুশিলগন তখন বসে যান নানারূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে. তাই বাস্তব সম্মতভাব দ্বায় সকলের.
ছবি সংগ্রহীত