পণ্যসংখ্যা বৃদ্ধি করতে একশত মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, রপ্তানি পণ্য হিসেবে প্লাস্টিক সেক্টরকে সরকার অগ্রাধীকার দিয়েছে। দেশের বর্তমান রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮৪ ভাগ দখল করে আছে তৈরী পোশাক খাত, এটা খুবই ঝুকিপূর্ণ। তাই সরকার দেশের রপ্তানি পণ্যসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্লাস্টিক, চামড়া, কৃষি, আইসিটি এবং ফার্মাসিটিকেল সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে রপ্তানি নীতি প্রনয়ণ করেছে। এ সেক্টরগুলোকে প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল, প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় একশত মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এতে স্থাপিত টেকনোলজি সেন্টরে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরী, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে ৯০ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরী করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্লাষ্টিক বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প, দ্রুত এ শিল্পের প্রসার ঘটছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাবসা-বাণিজ্যে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। বিভিন্ন উন্নতদেশে প্রতিযোগিতা করে বাণিজ্যে টিকে থাকতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো চাণিজ্য চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী শনিবার (১৯ জুন) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এ বাংলাদেশ প্লাষ্টিক গুড্স ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন ইয়র্কার্স ট্রেড এন্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় অনলাইনে চার দিনব্যাপী “১৫তম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল প্লাষ্টিক, প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ইন্ডাষ্ট্রি ফেযার-২০২১” এর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মহান জাতীয় সংসদে বাণিজ্যবান্ধব বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করা যায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও শক্তভিত্তির উপর দাড়াঁবে। আধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার, দক্ষ জনশক্তি দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইন তৈরী করে বিশ্ববাজার দখল করতে হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল প্লাষ্টিক ফেয়ার (আইপিএফ) অনলাইন এক্সপো আগামী ৫-৮ জুলাই চলবে। এক্সপোতে ১৯টি দেশের প্রায় ৪৮৩টি প্লাষ্টিক কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, চায়না, ইজিপ্ট, ইথিওপিয়া, হংকং,ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, সুদান, তাইওয়ান, থাইল্যন্ড, তুরষ্ক, সংযুক্ত আরব আমীরাত এবং ভিয়েতনাম। দর্শনার্থীগণ অনলাইনে যুক্ত হয়ে মেলায় প্রদর্শীত সকল পণ্য দেখার সুযোগ পাবেন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্লাষ্টিক গুড্স ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইয়র্কার্স ট্রেড এন্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট জুডি ওয়াং।