তুহিন চৌধুরী (সামাজিক,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক)
আমি কোন বিশ্লেষক নই। বর্তমান প্রেক্ষপট কম বেশী এখন সকলেই জানে। একদিকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, ন্যাটোতে ফিনল্যন্ড এর যোগ দেয়া নিয়ে উত্তেজনা।এক ইউক্রেন ৬০ কোটি মানুষের খাদ্য/গম এর যোগানদাতা। আসলে হচ্ছেটা কী? হবে কী? কে তার ব্যাখ্যা দিতে পারবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ আর গরীব দেশগুলো এক্ষেত্রে চাপে আছি- কেননা আমদানী নির্ভর ১৭ আইটেম নির্ভর করে অন্য দেশের উপর যেমন-পেঁয়াজ,তেল, চিনি পুরোটাই আমদানী করতে হয়। আমরা হাজার টাকার বিলাসী দ্রব্য কি এখনো কম কিনছি ? অথচ বিশ্ব বাজারে দাম বেড়ে চলেছে। গম রপ্তানী পাশের দেশ বন্ধ করা মাত্রই ১০ টাকা কেজি তে বেড়ে গেল।
যদিও সরকার গম আমদানীর জন্য কথা বলছে.ভারত সরকার এর পক্ষ হতে গম রপ্তানীতে কোন প্রকার বাঁধা নেই বলে বাণিজ্য মন্ত্রিকে অবহিত করেছে. এছাড়া সরকার তার অবস্থান থেকে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জনগনের সুবিধার্থে.অনেকই বলছেন ব্যংক রিজার্ভ এ চাপ বাড়ছে.ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে. সবই বিশ্বব্যপী অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ .দেশ এর এই ক্রান্তিকালে সরকার যা করছে তার চেয়ে অন্য কেউ ভালো করার আছে কি না জানা নেই.তবে বর্তমান সরকারের যায়গায় অন্য কেউ হলে দেশের অবস্থা কি হত,তা একটু ভাবলেই উত্তর পাওয়া যাবে। দেশে গমের মজুদ যথেষ্ট রয়েছে. কিন্তু রাতারাতি কে জি ৪৪ টাকা হয়ে গেল গম. লবন বাংলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে বলে মন্ত্রনালয় বলছে,অথচ দাম ৩৫ টাকা হয়ে গেলো.তার মানে দেশ এবং জনগন নয় ,অসাধুদের কাছে একপ্রকার মুনাফা হচ্ছে লক্ষ্য. আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশ কে অস্থির করতে চায় একটি গোষ্ঠি।
তাহলে বাংলার যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তার কোন নেই মূল্য ? দেশে আমদানীতে অনেক কর্ম সম্পাদন করে আনেন পণ্য ব্যবসায়ীগণ।
একদিকে ব্যবসায়ীগণ কষ্ট করে মুনাফা করেন। আর একদিকে অসাধু ব্যবসায়ীগণ তা হরণ করেন. কষ্ট পায় ভোক্তা। সরকার সব কষ্ট বোঝে বিধায় সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,কোটি পরিবারকে ভর্তুকি প্রদান দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিচ্ছে। আর একদিকে করোনা আর পরবর্তীতে যুদ্ধ অনেক দেশকে সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে।শ্রীলংকা তার লংকা কান্ডের প্রকৃত রূপ ধারণ করছে। অনেকেই এই সুযোগে বাংলাদেশকে অস্থির পথে নেওয়ার মত উগ্রকথা বলে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর পায়তারা করছে। সরকার প্রধান তাঁর দেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছেন তার কোন মূল্য নেই এসকল সুশীলদের কাছে। শ্রীলংকা তার দুই বছরের পর্যটক ব্যবসায় ধস দেখেছে। ব্যাংক এ তাদের রিজার্ভ দুই বিলিয়নের একটু বেশী।তার বিপরীতে বাংলাদেশ এর রিজার্ভ ৪৪ এর উপরে।
শ্রীলংকা বিদেশ থেকে সরাসরি ঋণ গ্রহন করে মেগা প্রকল্প করেছে। তার বিপরীতে বাংলাদেশ ঋণ নয়
পি পি পি এর আওতায় প্রকল্পের কাজ করছে। অর্থাৎ আয় হতে ব্যয় নির্বাহ হবে। তাছাড়া মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী,শেষ অর্থ বছরে ৫১ বিলিয়ন রপ্তানী ঘোষণা যখন করেন – অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন এটি আকাশ কুসুম স্বপ্ন।প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায়
তা আজ অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এদেশের রপ্তানীকারকদের কারণে সফল হয়েছে।
এবং তা প্রায় ৬০ বিলিয়নও হতে পারে। এদেশের জন্য এক যুগেরও বেশী সরকার এবং জনগণ যে জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে এসেছে তা এখন ধ্বংস করার জন্যই এত চেঁচামেচি।
বিশ্ববাজার এর অস্থিরতা ভর্তুকি সহ নানা জটিলতা স্বত্ত্বেও বাংলাদেশের হারানোর কোন কিছু নেই এটি যেমন সত্য তেমনি জনগণেরও দায়িত্ব আছে দেশ রক্ষায়।কেননা আমরা অবশ্যই লংকা কান্ড দেখতে চাই না।এ রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর পায়তারা যারা অনেকদিন ধরে করছে ও স্বপ্ন দেখছে তারা আজও থেমে নেই।তাদের কাজ হচ্ছে সমালোচনা আর তর্ক করা।যে দেশের গার্মেন্টস-জাহাজ শিল্প-লেদার -পাট-আই টি-ইলেকট্রনিক যে জায়গায় নিয়ে গেছে বিশ্ব দরবারে তা অবশ্যই ভূমিকার দাবিদার,ওয়ালটন মানেই বাংলাদেশ। আজ সারা বিশ্ব এই বাংলাদেশকে নিয়ে যে উন্নয়নের গল্প বলছে তা এতই ঠুনকো !!তাই বাস্তবতা নিয়ে জাতিকেই ভূমিকা নিতে হবে অগ্রযাত্রা ব্যর্থ না হওয়ার জন্য।
তাই এখন সময় বিনিয়োগ,বিদেশে কর্মী প্রেরণে সহজ করা জরুরী।সেই সাথে সিন্ডিকেটদের বিচার করা। ধৈর্য ধারণ করে অশুভ শক্তির মোকাবিলা করাই হচ্ছে মূল কাজ। দেশীয় পণ্য ব্যবহার ,আর রপ্তানীতে সহজীকরণ হবে একমাত্র লক্ষ্য। স্বপ্ন পূরণ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে -মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ।