বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার, যাঁর সঙ্গে দ্বন্দ্বে আন্দোলন করেছিলেন সাবিনা খাতুনসহ ১৮ খেলোয়াড়। চল্লিশ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠক। যেখানে বিদ্রোহী ১৩ ফুটবলারের সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার।দুই পক্ষের সমঝোতা বৈঠকেও ছড়িয়েছে উত্তেজনা। এক পক্ষ দোষারোপ করেছে অন্য পক্ষকে।
অধিনায়ক সাবিনা, মাতসুশিমা সুমাইয়া, ঋতুপর্ণা ও মনিকা চাকমা ভুটানের লিগে খেলতে গিয়েছেন। বোন অসুস্থ হওয়ায় তহুরা খাতুন যোগ দেননি ক্যাম্পে। আন্দোলন করা শিউলি আজিম, মোসাম্মাৎ সাগরিকা, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সানজিদা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, কৃষ্ণা রানী, স্বর্ণা রানী মণ্ডল, সাথী বিশ্বাস ও নাসরিন আক্তার ছিলেন বৈঠকে।
নানা ইস্যুতে বাগ্বিতণ্ডার পর শান্তির পতাকা ওড়ান ব্রিটিশ কোচ বাটলার। শিষ্যদের উদ্দেশে ৫ মিনিটের সমাপনী বক্তৃতায় সব ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শিক্ষকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিদ্রোহীরা যোগ দিয়েছেন অনুশীলনে।
এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৬৮ দিন পর দেশের নারী ফুটবলে বিদ্রোহের অবসান হলো। গতকাল জিম সেশনের পর আজ সকাল ছয়টায় ধানমন্ডির আবাহনী লিমিটেডের মাঠে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল, যেখানে কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা বেশির ভাগ ফুটবলার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বাটলারের অধীনে অনুশীলন করবেন বলে গতকাল নিশ্চিত করেছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিদ্রোহী ফুটবলার আজ মাঠে আসেন। অনেক দিন পর আমরা অনুশীলন করতে যাচ্ছি।’
নেপালে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে কোচের সঙ্গে বৈরিতা সাবিনা-সানজিদাদের। শিরোপা জিতলেও সে রেশ কাটেনি। পুনরায় বাটলারকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর জানুয়ারির শেষ দিকে তাঁর অধীনে অনুশীলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন ১৮ নারী ফুটবলার। কোচের বিরুদ্ধে বডি শেমিংসহ নানা অভিযোগ তোলেন তারা। কোচও সাত ফুটবলার থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন না বলে হুমকি দেন। মাঝে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে অসন্তোস অনেক দূর গড়িয়েছিল।
(স্পোর্টস ডেস্ক)