রংপুর মহানগর প্রতিনিধি-
৪ অক্টোবর,২০২২,মঙ্গলবার দুপুর ২:৩০মিনিটে রংপুর মৌবন হোটেল থেকে বের করে দেয়া হরিজন কিশোর জীবন বাসফোরকে (১৬) মিষ্টি খাইয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৌবন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
মৌবন হোটেলের ম্যানেজার আরিফুজ্জামান হোটেলে জীবন বাসফোরকে মিষ্টি খাইয়ে হরিজনদের সাথে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরোধের মীমাংসা করেন।
হরিজন নেতা সুরেশ বাসফোর বলেন, মঙ্গলবার মীমাংসার পর মৌবন হোটেলে গিয়ে আমরা এক সাথে মিষ্টি খেয়েছি। আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন।
আমাদের পাশে যারা দাঁড়িয়েছিলেন আমি সকলকেই ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে কোন মানুষের প্রতি অন্যায় হলে সকলে সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এই ঐক্যবদ্ধতার ফল স্বরূপ হলো- আজ আমাদের অধিকার আমাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া।
হোটেল ম্যানেজার আরিফুজ্জামান বলেন, গত শনিবার যে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে মালিক পক্ষের কেউ জড়িত ছিল না। কোন কাস্টমার হয়তো প্যাডের পাতায় ‘এই হোটেলে খাওয়া নিষেধ সুইপারের’ লিখে দিয়েছিল। প্রশাসনের মাধ্যমে হরিজনদের সাথে হোটেল কর্তৃপক্ষের যে বিরোধ ছিল তা মিটে গেছে। আমি নিজেই জীবন বাসফোরকে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছি।
মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষ ও হরিজন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে বিরোধটি মীমাংসা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী জোন) আরিফুজ্জামান, কোতয়ালী থানার ওসি মাহফুজার রহমান, হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের নেতা রাজা বাসফোর, রাজু বাসফোর, সাজু বাসফোর, সুরেশ বাসফোরসহ প্রমুখ।