১লা অক্টোবর,২০২২শনিবার সকাল ১১টায় রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামে ভাবির হাতে দেবর খুন হন।
নিহত রওশন মিয়া ওই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রওশন মিয়ার ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় পীরগাছা থানার পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের ভাবি আরিফা আক্তার ও ভাই রতন মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা গেছে, রওশন মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রীর দুই বছর আগে বিচ্ছেদ হয়। গত বৃহস্পতিবার তিনি একজন মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং বিয়ে করবেন বলে জানান। রওশনের ভাবি আরিফা আক্তার ও স্বজনদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মেয়েটি পালিয়ে যায়। ওই রাতেই রওশন মিয়া বিষপান করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন রওশন মিয়া রংপুর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ওই ইউনিয়নের মোংলাকুটি গ্রামে তার বোনের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় রওশন মিয়া আবারও নিজ বাড়ি মিরাপাড়া গ্রামে গেলে ভাবি আরিফা আক্তারের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। আরিফা আক্তার লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই রওশন মিয়ার মৃত্যু হয়।