মো: সাকিব চৌধুরী-
রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে আরো বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। একইসঙ্গে দাম বেড়েছে বয়লার মুরগি, আলু, টমেটো ও গাজরের। তবে কমেছে শিম, পটল, ঢ্যাঁড়সসহ কিছু সবজির দাম। অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল ও চিনি।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা।
কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সাদা দেশি আলু ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ টাকা, শিল ৭৫-৮০ টাকা এবং ঝাউ আলু পাঁচ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের দরে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি সামান্য কমে ৪৮ টাকা, দেশি আদা (নতুন) আগের মতো ২৩০-২৪০ টাকা, ভারতীয় আদা ২২০-২৪০ টাকা, প্রতি কেজি টমেটো ও গাজরের দাম ১০-২০ টাকা বেড়ে ১৩০-১৪০ টাকা, গাজর ১৩০-১৪০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৫৫-৬০ টাকা, চিকন বেগুনের দাম কমে ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা থেকে কমে ৭০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ (আকারভেদে) ৪৫-৫০ টাকা, ধনেপাতার দাম কমে ১৪০-১৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২০-২৫ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টিকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা, ঝিঙের দাম কমে ৬০ টাকা, দুধকুষি ৬০ টাকা, পটলের দাম কমে ৪৫-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, শিম ১৫০-১৬০ টাকা থেকে কমে ১১০-১২০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ২২০-২৪০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১৫-২৫ টাকা।
সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা আকবর হোসেন বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির আমদানি বেড়েছে। এ কারণে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে কার্ডিনাল আলু তিনদিন আগে ৬০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছিল।
মাছের বাজার ঘুরে জানা যায়, আকারভেদে রুইমাছের কেজি ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল সামান্য কমে ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০ টাকা এবং বুটেরডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৬৯ টাকা, দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০ টাকা ও খোলা আটা ৪৫ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।