মো:রিদওয়ান নুর রহমান-
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন (শেখ রাসেল দিবস ২০২২) উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর, ২০২২) সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো: হাসিবুর রশীদ।পরে প্রশাসন ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শেখ রাসেল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
এরপর শেখ রাসেল চত্ত্বরে স্থাপিত শেখ রাসেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো: হাসিবুর রশীদ, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.সরিফা সালোয়া ডিনা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড.মো: হাসিবুর রশীদ।
এছাড়া শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে একাডেমিক ভবন-৪ এর সামনে একটি চারা গাছ রোপণ করেন উপাচার্য।
সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শেখ রাসেল দিবস উদযাপন কমিটি-২০২২ এর আহবায়ক প্রফেসর ড. কমলেশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এবং বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড.মো: হাসিবুর রশীদ বলেন, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ এবং অধিকারবঞ্চিত শিশু কিশোরদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক শেখ রাসেল।
তিনি বলেন, ছোট্ট রাসেলের ব্যক্তিত্ব, মানবতাবোধ ও উপস্থিত বুদ্ধির বিষয়গুলো গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু জানতে পারবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের যে পরিণতি ঘটেছিল, এটি যেন পৃথিবীর আর কোনো শিশুর জীবনে না ঘটে। ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বিচারের রায় পুরোপুরি কার্যকর হলে ইতিহাসের কলঙ্কের মোচন ঘটবে ।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: আলমগীর চৌধুরী, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশনস সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আপেল মাহমুদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো: নুরুজ্জামান খান, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীম, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া জোহর নামাজের পর কেন্দ্রিয় মসজিদে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।