উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পর বেশ কিছু দেশের সঙ্গে মুক্ত ও বাংলাদেশ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।বেশ কিছু দেশের সঙ্গে এই ধরনের চুক্তির ব্যাপারে গবেষণাও শেষ হয়েছে। এই দেশ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে আছে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, জাপান ও ইউরোশিয়ান ইকোনমিক কমিশন। ইউএনবিএছাড়াও চীন, মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, মালি, মেসিডোনিয়া, মরিশাস, জর্দান, যুক্তরাষ্ট্র, ইরাক ও লেবাননের সঙ্গে এই ধরনের চুক্তির বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। ভারতের সঙ্গে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্টের বিষয় প্রক্রিয়াধীন আছে। সিইপিএএফটিএ’র চেয়ে একটু ভিন্ন ধরনের চুক্তি। এই চুক্তিতে পণ্যের বাইরে সেবা, বিনিয়োগ, মেধাভিত্তিক সম্পদ ও ই-কমার্সের মতো বিষয় আছে।২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করে বাংলাদেশ।
এই চুক্তি অনুযায়ী ৩৪টি ভুটানি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাদীকার পাবে। আর ভুটানের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে ১০০ বাংলাদেশি পণ্য। বাংলাদেশি পণ্যের মধ্যে আছে শিশুদের পোষাক, পুরুষদের প্যান্ট, জ্যাকেট ও ব্লেজার, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ব্যাটারি, ফ্যান, ঘরি, আলু, কনডেন্সন্ড মিল্ক, সিমেন্ট, টুথব্রাশ, পলিউড, পার্টিকেল বোর্ড, মিনারেল ওয়াটার, গ্রিন টি এবং কমলা, পেয়ারা ও আনারসের রস। আর ভুটান থেকে বাংলাদেশে আসবে কমলা আপেল, চুনাপাথর এর মতো বেশ কিছু পণ্য।
নেপালের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তির খসড়া চুড়ান্ত ধাপে আছে। ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও এই ধরনের চুক্তির আলোচনা চলছে। যে কোনো সময় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যাবে।বাংলাদেশের বানিজ্য প্রসারে এবং আভ্যন্তরীন বিনিয়োগে সরকার অনেক
সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।এখন যে কেউ বা বিদেশী বিনিয়োগকারী এখন চাইলেএকক মালিকানা কোম্পানী খুলতে পারবে এবং রপ্তানী বাড়াতে বানিজ্য মন্ত্রনালয় কাজ করে যাচ্ছে।অপার সম্ভাবনাময় দেশ বাংলাদেশএখন বিনিয়োগ বান্ধব দেশ হিসাবে উল্লেখ করে বলেন
গত অর্থ বছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৯৫% অর্জিত হয়েছেকরোনা মহামারির মধ্যেও ।
আশা করছি আমাদের ব্যাবসায়ীদের প্রচেষ্টায় সরকারের সহযোগীতার মধ্যে
৫১ বিলিয়ন রপ্তানি টার্গেট পূর্ন হবে।।