নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েট কনসালটেন্ট এর মতে রোজার মাসে সুস্থ থাকতে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। যে নিয়মগুলো মানলে রমজান মাসে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির পাশাপাশি পরিবারের বাকি সদস্যরা রোজা থাকলেও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন না।
রোজা রেখে শারীরিক সুস্থতার জন্য যা করণীয়-
অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করা। প্রতিদিন সব আইটেম খাওয়ার পরিবর্তে এক দিন পরপর বিভিন্ন খাবার রান্না করা। রান্না করা খাবার অনেকদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ না করে, টাটকা খাবার গ্রহণ করা।
সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা বেড়ে যায়, তাই বেশি চা বা কফি পান না করা, কারণ এতে আরও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
ভুনা করা খাবারের পরিবর্তে তরল বা পানিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া।
যাদের ডায়াবেটিসের পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড বা বাতজনিত সমস্যা আছে, তারা বেসন ও ডালের তৈরি খাবার কম খাবেন বা সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলবেন। যাদের ডায়াবেটিসের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তারা বাইরের কেনা প্রক্রিয়াজাত খাবার, মুড়ি, সামুদ্রিক মাছ,গরুর মাংস বা চপ থেকে দূরে থাকুন।
অতিরিক্ত ওজন ও হৃদরোগ আছে এমন ব্যক্তিরা ইফতার ও সাহ্রিতে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। যেমন আলুর চপ, বেগুনি, পুরি, ডালের বড়া ইত্যাদি। এসব খাবারে পুষ্টিগুণ কম থাকে এবং এগুলোতে ট্রান্সফ্যাট তৈরি হয়, যা বিভিন্ন জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করতে হবে,কারণ এটি অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে তোলে। এই নিয়মগুলো মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগীরা রমজানে সুস্থভাবে রোজা রাখতে পারবেন এবং শরীরের সুগার লেভেলও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শারীরিক সমস্যায় দ্রুত
চিকৎসকের পরামর্শ নিন, সুস্থ থাকুন। (স্বাস্থ্য ডেস্ক)