জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের ভর্তি কার্যক্রম চলছে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে। এই সময়ে দশ দফায় মেধা তালিকা প্রকাশ করে ভর্তি নেওয়া হলেও এখনো শূন্য আসনের সংখ্যা ১৯০। সর্বশেষ নবম মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভতি শেষে তিন ইউনিটে মোট ২ হাজার ৭৬৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৫৭৫ জন। ফলে এখনো ১৯০ টি আসন শূন্য রয়েছে।
এদিকে দফায় দফায় মেধা তালিকা প্রকাশ করেও আশানুরূপ শিক্ষার্থী না পাওয়ায় গুচ্ছ পদ্ধতির সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল সূত্রে জানা যায়, নবম মেধা তালিকার ভর্তি শেষে এ পর্যন্ত ইউনিট-এ বিজ্ঞান অনুষদে ১৩টি বিভাগে ৮২৫ টি আসনের মধ্যে ৫৩ টি, ‘বি’ ইউনিটে ১৭ বিভাগে ১ হাজার ২৭০টি আসন আসনের মধ্যে ১১৯ ও ‘সি’ ইউনিটে ৪৫০টি আসনের মধ্যে ১৮ আসন শূন্য রয়েছে।
জানা যায়, গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর গত বছরের ১৬ ই নভেম্বর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে জবি। বাকি আসনগুলো পূরণ হতে আরও কত সময় লাগবে এরও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। এতে বিপাকে রয়েছেন ভর্তিচ্ছুরাও।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন,ভোগান্তি কমানোর জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি চালু হলেও সেই ভোগান্তি কিছুটা রয়েই গেছে। সমন্বয়হীনতার কারণেই এই ভোগান্তি মনে হচ্ছে। ভর্তির ক্ষেত্রে সমন্বয় থাকলে ভালো হতো। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে বলেছি বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করা যায় কিনা।
কারন গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় ঢাকার বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রত্যাশা মাফিক শিক্ষার্থী পেলে ও আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তা পাই নি। তাই গুচ্ছের বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে আমরা আলোচনা করবো। আমরা ছাত্রদের ভালো চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারনে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোভিড পরিস্থিতিতে নিয়মিত ভর্তি কার্যক্রম চালু রাখায় অনেক শিক্ষার্থী সে সেব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যায়।
তাই সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কিছুটা অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে। এর পর ও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, গুচ্ছের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে কথা বলবো গুছ ভর্তি নিয়ে। শিক্ষার্থীদের যেটাতে সুবিধা হয় সে বিষয়টা আমাদের দেখতে হবে অবশ্যই।