চ্যাম্পিয়ন ট্রফির গ্রুপ ‘বি’ চার মহাদেশের চার দল হবে একে অন্যের মুখোমুখি। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সঙ্গে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ডার্ক হর্স আফগানিস্তান।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন, একবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর দু’বার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতা দল অস্ট্রেলিয়া। এমন সমৃদ্ধ রেকর্ড আর জৌলুস নেই অন্য কারো।
ট্রাভিস হেড, স্টিভেন স্মিথ, জস ইংলিশ, ম্যাক্সওয়েল ব্যাটিং অর্ডারে থাকা এ নামগুলো প্রতিপক্ষের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। অবশ্য এবারের আসরে নিজেরাও স্বস্তিতে নেই। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কের মত পেসারদের অনুপস্থিতি টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনা। সেই সঙ্গে রয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মিশন শুরুর আগে শ্রীলঙ্কার কাছে ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারের লজ্জা।
ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে একঝাঁক তারকা ব্যাটার। জস বাটলার, হ্যারি ব্রুক, জো রুট, লিয়াম লিভিংস্টন, ফিল সল্ট বোলারদের জন্য বলা চলে নাইটমেয়ার। তবে পাকিস্তানের কন্ডিশন বলে ইংলিশদের চিন্তামুক্ত থাকার সুযোগ নেই। ভারত সিরিজে রুট এবং বাটলার ছাড়া স্পিনে ধুঁকেছে ব্যাটাররা। দলটির এক্স ফ্যাক্টর হতে পারেন লেগি আদিল রশিদ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড কখনো জেতেনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকার সে আক্ষেপ নেই। প্রথম আসরের সেরা প্রোটিয়াস। মার্করাম, ক্লাসেন, কিলার মিলারের মত ব্যাটাররা আছেন ড্রেসিংরুমে। পেসার রাবাদার সঙ্গে স্পিনার কেশভ মহারাজ হতে পারেন গেইম চেঞ্জার। তবে ইনজুরির কারণে নরকিয়াকে মিস করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টিম গেইম আফগানিস্তানের অস্ত্র! রশিদ খান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, গুলবাদিন নাইবরা জ্বলে উঠলে আফগানদের রুখবে কে? সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে দলটি। তারপরও দুশ্চিন্তা বলতে ওয়ানডে ফরম্যাটের প্রস্তুতির ঘাটতি। সঙ্গে ইনজুরির কারণে স্পিনার গাজানফারের ছিটকে যাওয়া।
(স্পোর্টস ডেস্ক)