20.9 C
Rangpur City
Sunday, December 22, 2024
Google search engine
Homeমতামতচিন্তিত মন - আমরা সরকার চালাই

চিন্তিত মন – আমরা সরকার চালাই

তুহিন চৌধুরী: (রাজনৈতিক,সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক)

প্রবাসীদের টাকা সরকারী খাতে বিনিয়োগ এর জন্য সুযোগ এবং এই মুহূর্তে উন্মুক্ত কর্মী প্রেরণের অনুমতি হলেই দেশ ঘুরে দাঁড়াবে দ্রুত।

বাহির হতে কালো টাকা দেশে ঢুকবে। জনগণ এবং দেশের জন্য এখন সর্বোচ্চ চিন্তা চেতনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।সরকারকে বিপাকে পড়ার জন্য দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র নতুন নয়। তাই ভিতরের এজেন্টরা তৎপর হবে।জনগণের ও দেশ এবং নিজের কথা ভেবে কৃচ্ছতা সাধনে সহযোগিতা করতে হবে।তেল পাচারের জন্য কে বা কারা দায়ী?

তা কর্তৃপক্ষ জানেন। ইতোপূর্বে এই তেল সেক্টর লাভ করেছিলো। কার স্বার্থে পেট্রবাংলা থমকে থমকে চলে? টেলিটক আজও কেন শক্তিশালী হতে পারলো না।রেল নিয়ে কেন এত মাতামাতি ?থামছে না বিশৃংখলা,হাসপাতাল এ রুগীর আহাজারী, কেন দালালের হাট? এর জন্য কারা দায়ী?মাঠ পর্যায়ে তৃণমূল এ কথাগুলি আলোচনা হলেও উপরে পৌঁছায় না।

আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাত দিন একাকার করে যখন রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে চলেছেন,তখন বিভিন্ন যায়গায় স্বার্থান্বেষী মহল ঢুকে যায় ,আর এই জট খুলতে হয় সময় চলে যায় ,না হয় কাজ বাতিল, হয় অপচয়। দোষ পুরোটাই সরকারের উপর।

আজকে বিশ্বব্যাপী যে অস্থিরতা চলছে তার চাপ পুরোটাই বাংলাদেশ এর উপর আসছে।
এটা যেমন সত্য, তেমনি এদেশের হাইব্রীডদের রাজত্ব আর দৌরাত্ম্য চলছে।কথা বলা যায় না অনেকক্ষেত্রে।গতকাল একটা অভিজ্ঞতা হলো- কোন এক যায়গায় রাস্তায় উত্তেজিত এক টোল আদায়কারি আমাকে বললো তারা নাকি সরকার চালায়।আমি বললাম ,জানতাম না ভাই,ভুল হয়ে গেছে। এই হলো অবস্থা।
আওয়ামীলীগকে আর সরকারকে যে যার মত পারছে কেজি হিসাবে বিক্রয় করছে। অথচ মূল দলের খবর নেই।

আর যারা গলাবাজী করে চিৎকার করে সরকারের বিরুদ্ধে বলছেন তাদেরও কথা বলার অধিকার কতটুকু ? পূর্বে এদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। লক্ষকোটি টাকা পাচার তাদের আমলেও হয়েছে। বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতির কারণে আমাদের সতর্কে পা ফেলতে হবে এটি কর্তা ব্যক্তিরা ভালো বোঝেন। কিন্তু এমন কোন সিদ্ধান্ত চাই না জনগণ কষ্ট পায়। কিন্তু এই সুযোগে আবার দুষ্কৃতকারীরা যেন রাষ্ট্রের ক্ষতি না করতে পারে।

মধ্যবিত্ত এবং নিন্ম মধ্যবিত্ত যন্ত্রনা ভোগ করছে।
জনগন একেবারেই আয়-ব্যয়ের জায়গায় স্থির থাকতে পারছে না।

লুট তরাজ বা টাকা পাচারে কারা এবং সিন্ডিকেট কারা তা অবশ্যই শক্ত হাতে দমন করা প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র জন্য এই সময় চাই,সঠিক একটি ইনফর্মেশন সেল।

দেশ এবং জনগণ এর একমাত্র আস্থার জায়গা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এ দেশের জনগণ এটা অন্তত বিশ্বাস করে,আর যা হোক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ তিনি আছেন ভালো কিছু হবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র নজরে কখন আসবে?

তার কাছে সঠিক রিপোর্ট যাচ্ছে কি না? রাষ্ট্রের স্বার্থ
যেখানে নিহিত সেখানেই তেলবাজদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করে দেশের স্বার্থ ,জনগনের স্বার্থ নিয়ে যারা
কাজ করেন তাদের সামনে বসে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।

বাংলাদেশ এর শিল্প এবং বাণিজ্য খাতের ট্রেড এ্যাসোসিয়েশন সহ সর্বক্ষেত্রে এই সময় দায়িত্বশীল বা যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের পরামর্শ জরুরী।

এ ছাড়া আরেকটি লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হলো- বাণিজ্য সংগঠনগুলি কেমন যেন চেয়ার দখলের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। কোন কোন সংগঠনের ভোটার ১০০০/১২০০ কিন্তু নমিনেশন বিক্রয় হয় ৩/৪ শত,
তার মানে হচ্ছে এটি একধরনের প্রতিযোগিতা। তিনি কারো না কারো আশীর্বাদ পুষ্ট।

তাদের ক্ষমতার চাপ ও সহ্য করতে হয় রাষ্ট্র কে।কোন কোন ক্ষেত্রে এমন ও দেখা গেছে কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই অনেক কিছুকে অনুমতি দিতে চান না ,যা বিদ্যমান আইনের সংগে সাংঘর্ষিক .

অনেক ক্ষেত্রে ট্রেড জগতের যোগ্যতা থাক আর না থাক তার জন্য অনৈতিক চাপ। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভুল তথ্য উপস্থাপন এর প্রতিযোগিতা চলে। স্বার্থর জন্য শক্তিশালী ব্যাক্তিগণ আবার দল মত আদর্শ ভুলে যান। ফয়দা থাকলে গোপনে অথবা প্রকাশ্যে চলে তাদের ভাগীদারদের আড্ডা। জনগণকে সন্ত্রস্ত করার জন্য যার বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ তাকে বানাতে হবে নেতা।

অথবা সে খুব ভালো তাকে আইনের হাত হতে বাঁচাতে হলে ,তখন আর দলের নীতিগত যা কিছু আছে তা পকেটে রেখে দিয়ে চলে ,তদবির কিন্তু তাতে কে কি বললো তাতে যায় আসে না কেননা তাকে দিয়ে তো আমার ভালো চলছে।হোক না সে অন্য ঘরানার , তাতে কী? অতি উৎসাহ নিয়ে অনেকে এগিয়ে বলেন তিনি এই ,তিনি সরকারের জন্য এই করেছেন।কিন্তু সরকার বিপদে তিনি তখন উড়াল দিবেন আকাশে।

প্রবাসে অবস্থানকরা আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধাগণ এর টাকায় আমরা বাহাদুরি করি। কিন্তু তাদের প্রতি কি এমন দায়িত্ব পালনে আমরা আহ্লাদে গদ গদ করি।প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় খুব সুন্দর সুন্দর
উদ্যোগ গ্রহণ করে ,চিৎকার করে বলে তারা
অতি ব্যস্ত সব কিছু করে ফেলছেন।

কিন্তু এ সেক্টরের জন্য যাদের লাইসেন্স প্রদান করেছেন,তাদের সংগে নিয়ে কতটুকু কাজ
করার পরিবেশ আনতে সক্ষম হয়েছেন? বিভিন্ন দেশের ভিসা লাইসেন্স প্রাপ্তগণ আনেন আর ঢোল বাজাতে ব্যস্ত মন্ত্রণালয়।এদিকে হাত পা বেঁধে বলছে ,এবার সাঁতার কাটতে হবে এই সেক্টরের ব্যাবসায়ীদের। কেননা তার কষ্টার্জিত টাকা সিকিউরিটি জমা দেয়া টাকার লভ্যাংশ দিয়ে অন্যের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এধরনের কালো আইন কারা তৈরী করে তাও বোধগম্য নয়।

কর্মী প্রেরণে যে জটিলতা বা দালালদের দৌরাত্ম্য তা নিয়ে স্পষ্ট কথা বলতে সমস্যা কোথায়? আসলে
তারা ভাবে সকলেই বোকা। এদিকে সরকারকে সমালোচনা শুনতে হয় বা গালাগাল দেয় মানুষ।
কী অদ্ভুত !! নেতা হতে হবে তাকে ,তার যোগ্যতা দক্ষতা বা ট্রেড সম্পর্কে তিনি কিছু বোঝেন
আর না বোঝেন। এ যেন এক রাজ চেয়ার যেটাতে তাকে বসতেই হবে। এ ছাড়া এখন চলছে এক ধরণের ব্র্যান্ডিং। আবার চিত্র উল্টোটাও আছে। অনেক বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আছেন। তাকে আমন্ত্রণ জানালেও তারা রাজি হন না। এ দিকে আবার ঢাল তলোয়ার কিছু নাই তার চেয়ারটা চাই। তার অবশ্য একটা কারণ তো আছেই, তিনি চান তার স্বার্থ। জনগণ বা দেশ অথবা ঐ সেক্টর তার কাছে মুখ্য নয়।

আর এ জন্যও রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতির কারণ। রাজনৈতিক তদবির আছে বা থাকবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু দ্বায়িত্বে যারা আছেন তারা যদি যৌক্তিক ভাবে বিষয়টি দেখেন এক্ষেত্রে ৯০% জটিলতা দূর করা সম্ভব। যা-ই হোক বিষয়টি হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু মাত্র সরকার প্রধানের নয়। এখানে যাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব তাদের চাহনি কী বলে? তার উপর সব কিছু নিহিত।

News
Newshttps://sotterkontho24.com/
রোড নংঃ ৫/১, বাসা নংঃ ৩৮৮, হোল্ডিং নংঃ ৪৪৫ স্টেশন রোড, আলমনগর, পীরপুর, রংপুর। মোবাইলঃ ০১৭৩৬৫৮৫৭৭৭
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয় নিউজ

সাম্প্রতিক মন্তব্য