১৪ জুন, সোমবার ২০২১
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এমপি বলেছেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যবসায়ীদের প্রস্তুত হতে হবে। সরকার এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সেক্টর ভিত্তিক সাব-কমিটি গঠন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধি থাকবে। গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে এফবিসিসিআইকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে আধুনিকি করণে ভুমিকা রাখতে হবে। সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে আরও তৎপর হতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যে শুধু তৈরী পোশাক শিল্পের উপর নির্ভর করলে হবে না। দেশের আইসিটি, লেদার, প্লাষ্টিক, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে রপ্তানি বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সরকার এ সকল সেক্টরকে রপ্তানি বাণিজ্যে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, এ জন্য ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১৪ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত পরিষদ এর ৪৫ সদসস্যের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করতে এলে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থ বছর আমরা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে চাই। এজন্য দেশের রপ্তানি কারকদের আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এলডিসি গ্রাজুয়েমনের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ আসবে, তা দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করতে হবে।
উল্লেখ্য, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন মহান জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানান। প্রতিনিধি দলের সদস্যগণ এলডিসি গ্রাজুয়েশন এবং এসডিজি অর্জনে সরকারকে আন্তরিক ভাবে সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন। তারা ব্যবসা বান্ধব পলিসি গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। দেশে নতুন নতুন রপ্তানি পণ্য সৃষ্টিতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বক্তব্য রাখেন। আগত ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এম এ মোমেন, মো. আমীন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবিব উল্লাহ ডন এবং এম এ রাজ্জাক খান। পরিচালকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবু মোতালেব, ড. ফেরদৌসী বেগম, আমজাদ হোসেন, মো. শাহীন আহমেদ, মিসেস শমি কায়সার, মো. আবু নাসের, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীর, মিসেস প্রীতি চৌধুরী, মিস নাজ ফারহানা আহমেদ এবং সাইফুল ইসলাম।