নিজস্ব প্রতিনিধি-
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ২নং রানীপুকুর বাজার এলাকায় নাজমুননাহার নামে এক নারীকে পিটিয়ে আহত করেছেন কয়েকজন ব্যক্তি।
(১৮ই আগস্ট) বৃহস্পতিবার আহত নারীর ভাই মোঃ হাবিব মিয়া(৩৬) বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিবাদীগণ হলেন-একই উপজেলার
১.কামরুজ্জামান (৪৮),২.জাহিদুল হক(৪৫),৩.আল আমিন মিয়া(৪৬),৪.লিটন মিয়া(৪২),৫.মোমেনা বেগম(৪০),৬.আবু হানিফা(৪০)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,- রানীপুকুর বাজারে মোঃ হাবিব মিয়ার দীর্ঘদিনের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে উক্ত বিবাদীগণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে বালু ফেলিয়া রাখিলে তিনি প্রতিষ্ঠানটি খুলতে পারেন না। হাবিবের অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিষ্ঠানের সামনে রাখা বালু অপসারণ করতে গেলে বিবাদীগণ বাধা প্রদান করে একসময় তারা পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠি নিয়ে এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং বিবাদী মুজাহিদুল হোসেন এর নেতৃত্বে নাজমুন্নাহারকে টেনে হিচড়ে ঘটনাস্থল থেকে অদূরে রানীপুকুর কলেজ মাঠে নিয়ে যায়।
এ সময় বিবাদী আলামিন তার দুহাত দিয়ে নাজমুন্নাহারের গলা টিপে ধরে। পরপরই বিবাদী মুজাহিদুল ইসলাম, লিটন মিয়া, আবু হানিফা, কামরুজ্জামান নাজমুন্নাহারের বুকে, মাথায়, পিঠে, কোমর সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাথি-গুড়ি,
কিল- ঘুষি দিয়ে থাকেন।
যার ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো ফোলা জখম হয়ে যায়। বিবাদী মোমেনা বেগম শামসুন্নাহারের চোখের নিচে, চোখের ডান,বাম পাশে খামচা দিয়ে রক্তাক্ত করে।
তাকে রক্ষা করার জন্য মৌফুজা চৌধুরী নিশা,শাহনাজ বেগম,হাসিনা সহ অন্যান্যরা এগিয়ে গেলে তারাও হামলার শিকার হয়। এমনকি তাদের হাত থেকে মোবাইল ফোন সহ সবকিছু কেড়ে নেয়। এমতাবস্থায় তাদের মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। চিকিৎসারত ডাক্তার নিশা,শাহনাজ বেগম ও হাসিনা বেগমের প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেন। নাজমুন্নাহার কে হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়।
উক্ত ঘটনার পর বিবাদী লিটন ও আলামিনের কাছে উক্ত ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানায়, তারা এই সম্পর্কে কোন কথা বলতে চায় না
শামসুন্নাহার কি করবে সেটা তারা দেখে নিবে।
পরে মিঠাপুকুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জানান-
“এটি মামলা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”